পাথেয় ডেস্ক : নেপালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত ১০ বাংলাদেশীর মধ্যে সাতজনকে কাঠমান্ডু ছাড়ার অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তাদের আহত চিকিৎসক মো. রেজওয়ানুল হককে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন আরেক আহত শাহরিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার সকালে নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আহতদের অনাপত্তিপত্র পাওয়ার তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আহত অন্য পাঁচ বাংলাদেশীও যেকোনও সময় কাঠমান্ডু ছাড়তে পারবেন। তবে বাকি তিন বাংলাদেশীর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। অনাপত্তিপত্র পাওয়া অন্য পাঁচ বাংলাদেশী হলেন, ইয়াকুব আলী, মেহেদি হাসান, এমরানা কবির হাসি, সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণা ও আলমুন নাহার অ্যানি।
এদের মধ্যে ইয়াকুব আলী ও এমরানা কবির হাসিকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন। বাকিদের যে কোনও সময় বাংলাদেশে নিয়ে আসা হতে পারে। ইয়াকুব আলী নরভিক হাসপাতালে রয়েছেন, বাকি সবাই কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সকালের দিকে কাঠমান্ডুর ওএম হাসপাতাল থেকে বাংলাদেশী নাগরিক মো. রেজওয়ানুল হককে তার বাবা মো. মোজাম্মেল হক সিঙ্গাপুরে নিয়ে গেছেন। আর শাহরিন আহমেদকে নিয়ে তার স্বজনরা দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। হাসপাতাল ত্যাগের আগে শাহরিনকে প্রথা অনুযায়ী উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে প্রার্থনা করেছেন।
এদিকে মো. শাহীন ব্যাপারী কাঠমান্ডু মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে এবং মো. কবীর হোসাইন ও শেখ রাশেদ রুবায়েত একই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের হাসপাতাল ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
গত সোমবার নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার একটি বিমান ৬৭ যাত্রী ও চারজন ক্রু নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশী। এছাড়া, ১০ বাংলাদেশী নেপালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।