ছড়িয়ে দিলাম ছড়ার আলো— গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব সম্পন্ন

ছড়িয়ে দিলাম ছড়ার আলো— গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব সম্পন্ন

পাথেয় রিপোর্ট ● প্রতিশ্রুতিশীল ছড়াকার কামরুল আলম সম্পাদিত সিলেটের ১৮ জন ছড়াকার’র ১৮০টি ছড়ায় সমৃদ্ধ ২০৮ পৃষ্ঠার যৌথ ছড়াগ্রন্থ ‘ছড়িয়ে দিলাম ছড়ার আলো’—এর প্রকাশনা উৎসব গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭) সিলেট নগরীর ধোপাদিঘির পূর্বপারস্থ মা কমিউিনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।

সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থা পাপড়ি প্রকাশ-এর স্বত্ত্বাধিকারী ছড়াকার কামরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাহিত্যের ছোটকাগজ পিঁপড়া সম্পাদক মিনহাজ ফয়সলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিশুসাহিত্যিক-ছড়াকার ও সংগঠক সুফিয়ান আহমদ চৌধুরী এডভোকেট। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ভাস্কর সম্পাদক কবি পুলিন রায় ও ছড়াপরিষদ সিলেটের সহ-সভাপতি ছড়াকার অজিত রায় ভজন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শাহপরান সাহিত্য সংসদের সহ-সভাপতি প্রাবন্ধিক মো. বশির আহমদ, ছড়াকার গাজী সাদিকুল হক, ছড়াপাখি সম্পাদক তোরাব আল হাবীব, ব্যাংকার আরিফ শাহেদ শাহরিয়ার, ছড়াকার নজমুল হক চৌধুরী, মাহমুদ পারভেজ, রব্বানী রউফ, সালমান মাহবুবু, আবিদ সালমান, মোয়াজ্জিম আল হাসান, আকরাম সাবিত, মুয়াজ বিন এনাম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মো. নূরুল ইসলাম, রাশেদ আহমদসহ সিলেটের নবীন-প্রবীণ ছড়াকার ও ছড়ানুরাগী ব্যক্তিবর্গ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট সুফিয়ান আহমদ চৌধুরী বলেন, সাহিত্যের আদিতম শাখা হলো ছড়া। সিলেটে যারা ছড়াসাহিত্য নিয়ে কাজ করছেন তাদের মধ্যে কামরুল আলম অন্যতম। ‘ছড়িয়ে দিলাম ছড়ার আলো’ নামে যৌথ ছড়াগ্রন্থ প্রকাশ করে কামরুল আলম বর্তমান সময়ের ছড়াসাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য কাজ সৃষ্টি করতে পেরেছেন। ইতিহাসে এই গ্রন্থটি আলোচিত হবে এবং বর্তমান সময়ের প্রতিনিধিত্ব করবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কবি পুলিন রায় ‘ছড়িয়ে দিলাম ছড়ার আলো’ গ্রন্থের প্রশংসা করে বলেন, এরকম একটি চমৎকার গ্রন্থ প্রকাশ করা সহজ কথা নয়। দু একটি মুদ্রণজনিত ত্রুটির ব্যাপারে তিনি সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে সচেত থাকার পরামর্শ দেন। ছড়াকার অজিত রায় ভজন বলেন, ১৯৮৪ সালে আমরা ছড়াপরিষদ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম মূলতঃ সিলেটে ছড়াসাহিত্য চর্চার জন্যই। কে কোন দল বা মতের অনুসারী এটা আমাদের কাছে মূখ্য বিষয় নয়, বরং কে কতটুকু ভালো ছড়া লিখতে পেরেছেন সেটাই দেখতে হবে। স্নেহভাজন কামরুল আলম ছড়াপরিষদ সিলেটেরই একজন কর্মী। তার সম্পাদনায় প্রকাশিত গ্রন্থটিতে নবীন-প্রবীণ যাদের লেখা প্রকাশিত হয়েছে তারা প্রত্যেকেই বর্তমানে খুবই ভালো ছড়া লিখছেন।

সভাপতির বক্তব্যে কামরুল আলম সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, প্রত্যেক ছড়াকারেরর ১০টি করে ছড়া নিয়ে ১৮ জন ছড়াকারের যৌথ ছড়াগ্রন্থের প্রকাশনা সিলেটে এই প্রথম। একজন ছড়াকারকে জানতে হলে অন্ততপক্ষে তাঁর ১০টি ছড়া পাঠ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে অগ্রজদের পরামর্শের ভিত্তিতে সিলেটের অন্যান্য ছড়াকারদেরও এভাবে মলাটবদ্ধ করতে চাই। সভাশেষে পাপড়ি প্রকাশের সৌজন্যে সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *