পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ‘করোনা টেস্ট নিয়ে গ্রামীণ জনগণের মনে যে ভীতি সেটা দূর করতে এবং টিকা প্রদানে উৎসাহিত করতে কাজ করতে হবে। টেস্ট করলে তার যে চিকিৎসাটা হবে, সে যে ভালো হবে বা সে অন্য কাউকে সংক্রমিত করবে না এবং নিজে বাঁচবে অন্যকেও বাঁচাবে- এই ধারণাটা মানুষের মধ্যে দিতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার (২৭৪ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের মধ্যে টিকা নিয়ে অতীতে নানারকম ভীতি ছিল। টিকা নিলে কি না কি হয়ে যাবে। এখন সবাই সে ভীতি কাটালেও একটা সমস্যা এখনও আছে যেটা আমি মাঝে মাঝে খবর পাই। কেউ (করোনা) পরীক্ষা করাতে চায় না। তাদের ধারনা টেস্ট করলে করোনা আছে শুনলে সে অচ্ছুত হয়ে যাবে, তার সঙ্গে কেউ মিশবে না, এই ভয়টা করে। কিন্তু এটাতো ঠিক নয়।
প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা যেহেতু মানবতার সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছ। এটা অব্যাহত রাখবে। মনে রাখবে, এটাই আমাদের আদর্শ এটাই আমাদের কাজ। এটাই আমাদের জাতির পিতা শিখিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডব্লুওএইচও’র নির্দেশনা অনুযায়ী শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ যাতে টিকা নিতে পারে তার ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। ভ্যাকসিন যেখানে যা পাওয়া যাচ্ছে আমরা ক্রয় করছি। তার জন্য আলাদা টাকাও রাখা আছে। প্রয়োজনে আরও টাকাও আমরা খরচ করব। ইতিমধ্যে আমাদের ১ কোটি ৮৭ লাখের মত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে গেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, একেবারে গ্রাম পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। আইডি কার্ড দেখিয়ে সরাসরি রেজিস্ট্রেশন করে সেখানেই টিকা নিতে পারবে। সেই ব্যবস্থাও আমরা করছি। তিনি এই ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের মানুষকে সাহায্য এবং সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।