জনগণের বাঁধ নির্মাণে চরমোনাই

জনগণের বাঁধ নির্মাণে চরমোনাই

জনগণের বাঁধ নির্মাণে চরমোনাই

আমিনুল ইসলাম কাসেমী : চরমোনাই এর সংগঠনগুলো এবং তার কর্মীরা আসলেই দেশপ্রেমিক। কথায় নয় কাজে। আমি অবাক হচ্ছি তাদের কার্যক্রমগুলো দেখে। কি লিখব? ওঁদের খেদমত, ওঁদের জনসেবা লিখে শেষ করা যাবে না। কি আজব কারবার তাদের। যা কল্পনা করা যায় না, যা কারো চিন্তায় আসে না, সেসব কাজের আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে নিঃস্বার্থভাবে। প্রাণ উজাড় করে খেদমত করছে এ জাতির জন্য। কোন প্রচার – পাবলিসিটির আশায় নয়। একদম খেদমত। জনগণের উপকার।

আমরা শুনেছি, আমাদের আকাবির- আসলাফগণ জনগণের পাশে থেকে কাজ করেছেন।সুখে – দুঃখে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রাণখুলে খেদমত করেছেন। কিন্তু আমরা আমাদের পুর্বসূরী সেসব মানুষের খেদমত সচক্ষে দেখিনি। শুধু শুনেছি। পরোপকারে তারা নিজের জান কোরবান করে দিতেন।

চরমোনাই ওয়ালাদের খেদমত দেখে আকাবির- আসলাফের সেসব জনসেবার কথা বার বার স্মরণ হচ্ছে। সত্যি তারা ছিলেন বে- মেছাল, অতুলনীয়।

ঠিক বর্তমানে চরমোনাই পীর সাহেবের সংগঠন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী যুব আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন তারা যেভাবে ময়দানে কাজ করছেন, তা ইতিহাস হয়ে থাকবে। এরাও এখন এযুগের বে-মেছাল. তুলনাহীন।

চরমোনাই ওয়ালাদের সাথে কোন সংগঠনের তুলনা চলে না। তারা সবার সেরা। আমি কোন রাজনৈতিক প্রভাব- প্রতিপত্তির বিচারে বলছি না বা সংসদের আসন বন্টন হিসাব করছিনা। এই সংকটময় সময়ে চরমোনাই এর কর্মিরা যে অবদান রেখে চলেছেন, তা আর কোন সংগঠনের সাথে ওজন করা যাবেনা। যদি কেউ ওজন করে, তবে চরমোনাই এর পাল্লা সবচেয়ে ভারি।

কি এক আজব সংগঠন চরমোনাই এর ইসলামী আন্দোলন এবং তার অঙ্গগুলো। কি যে গতি তাদের। কি রকম তাদের কর্মতৎপরতা। মাথায় ধরেনা। সব যেন লৌহমানব। ইস্পাতের মত শক্ত তাদের মনোবল।

চিন্তা করা যায়, যে সব কাজ করতে লক্ষ লক্ষ টাকা বাজেট করা লাগে। সেসব কাজগুলো চরমোনাই এর কর্মিরা ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছেন। স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে মানুষের কাজ করে দিচ্ছেন।

আহ! কর্মীদের খেদমত দেখে অন্তরটা গর্বে ভরে গেল। মুখে বলার আগেই অন্তর থেকে দুআ আসতে থাকল। কিভাবে বুক সমান পানির মাঝে দাঁড়িয়ে বাঁধ দিয়ে জনগণকে রক্ষা করছে। একজন দুজন নয়, শত শত চরমোনাই এর কর্মি নেমে গেছে জনগণের খেদমত করার জন্য।

কদিন আগে গেল চরমোনাই ওয়ালাদের ধানকাঁটার কর্মসুচি। অসহায়- দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিয়েছে তারা। হাজার হাজার বিঘা জমির ধান কেটে দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন। এমনকি অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে তারা দাঁড়িয়েছিল।

আর করোনার কারণে যে সব সমস্যাগুলো জাতি অনুভব করছিল, সেসব কাজেও তারা এগিয়ে। যেমন বড় সমস্যা ছিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মৃত্যুবরণ করলে কাছে যেতনা কেউ। কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের কর্মিরা এখনো ময়দানে সেবা দিয়ে যাচ্ছে বিরামহীন ভাবে।

আজকাল সংবাদের হেড লাইনে ওঠে আসছে ইসলামী আন্দোলনের খবর। দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে সার্ভিস দিচ্ছে তারা, তাতে আর ধামাচাপা দিয়ে রাখা যায় না। সত্যটা বেরিয়ে আসছে জাতির সামনে।

দেখুন! দেশে কিন্তু সংগঠন কম নয়। ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠেছে রাজনৈতিক সংগঠনগুলো। কিন্তু এই বিপদে কয়টা সংগঠনকে আপনি দেখছেন? খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। কিন্তু ইসলামী আন্দোলন সব সময় সর্বাগ্রে। সারাটা বছর যে কোন ইস্যুতে ইসলামী আন্দোলনকে পাওয়া যায়। দেশ যখন স্বাভাবিক ছিল,তখনো দেখা গেছে চরমোনাই ওয়ালাদের। আবার এই ক্রান্তিকালেও চরমোনাই আছে মানুষের পাশে। মানে চরমোনাই ওয়ালারা মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছে। আমি এই সংগঠনের সফলতা কামনা করছি। আল্লাহ কবুল করুন। আমিন।

লেখক : শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *