পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বিশ্বের সামগ্রিক ক্ষতির মূলউপাদান হলো জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল। এই কুফলেই বিশ্ব নিঃশ্বেস হয়ে যেতে পারে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় বিশ্ববাসীকে একত্র হয়ে, জোটবদ্ধ হয়ে ঐকমত্য হতে হবে। উপায় বের করতে না পারলে বিশ্বই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জাতিসংঘের বিজ্ঞানীদের একটি প্যানেল হুঁশিয়ার করে বলেছে, মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের পরিণতিতে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে দ্রুত সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে এবং বরফ গলছে। মেরু অঞ্চলে বরফের আচ্ছাদন বিলীন হওয়ার কারণে কার্বন নিঃসরণের মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে। আবাসস্থল বদলাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির জীবজন্তুর। ফলে এই পরিস্থিতি দিন দিন বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। প্রতিবেদনটির প্রণেতা ড. জ্যঁ পিয়ের গুত্তুসো বলেন, আমাদের এই নীল গ্রহ এখন মহাসংকটে। বিভিন্ন দিক থেকে ঝুঁঁকি তৈরি হয়েছে এবং এর জন্য আমরাই দায়ী।
বিষয়টিকে কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। আগের যেকোনো প্রতিবেদনের চেয়ে জাতিসংঘে উত্থাপিত এই প্রতিবেদন খুবই ভয়ঙ্কর। সাগরপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় যেমন গলছে বরফ তেমনি প্রভাব পড়ছে প্রাণীজগতেও। তারা নিজেদের আবাসন পরিবর্তন করছে। এতে করে মহাবিপর্যয়ও দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা মানুষকেই দূষছেন এই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ হিসেবে।
গত বুধবার জাতিসংঘের পরিবেশসংক্রান্ত প্যানেলের প্রতিবেদনে এই অশনিসংকেতই তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নিউইয়র্ক থেকে শুরু করে সাংহাইয়ের উপকূলবর্তী শহরগুলো প্রায়ই বন্যার কবলে পড়বে। উত্তর মেরু ও নিকটবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যেই বরফ গলতে শুরু করেছে। পরে হিমালয় ও দক্ষিণ মেরুতেও হিমবাহ ও বরফের স্তর অত্যন্ত দ্রুতহারে গলতে শুরু করবে। সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মাছের ভা-ার কমবে দ্রুত হারে, ফলে খাদ্য সংকট অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়াবে।
গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমনের প্রত্যক্ষ প্রভাব এভাবেই টের পাওয়া যাবে অদূর ভবিষ্যতে। জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বের যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম দিকে। ইতিমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশের উপকূলভাগের কয়েক লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। দেশের নদ-নদীগুলোয় সাগরের লোনা জলের আগ্রাসন বাড়ছে। উপকূলভাগের হাজার হাজার একর জমি লবণাক্ততার শিকার হয়ে উর্বরাশক্তি হারিয়েছে। দুই মেরু ও হিমালয় পবর্তমালার বরফ গলা বৃদ্ধি পেলে ভয়াবহ বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে উঠবে।
মানুষ নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনছে। অতি উন্নয়নের নামে প্লাস্টিক, ইল্কেট্রিক, ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য এসে জলবায়ুকে আরও বেশি দূষণ করে তুলছে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য বিশ^বাসীকে ঐকমত্য হয়ে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই।
ইনসার্ট : উপকূলভাগের হাজার হাজার একর জমি লবণাক্ততার শিকার হয়ে উর্বরাশক্তি হারিয়েছে। দুই মেরু ও হিমালয় পবর্তমালার বরফ গলা বৃদ্ধি পেলে ভয়াবহ বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে উঠবে। মানুষ নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনছে। অতি উন্নয়নের নামে প্লাস্টিক, ইল্কেট্রিক, ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য এসে জলবায়ুকে আরও বেশি দূষণ করে তুলছে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য বিশ^বাসীকে ঐকমত্য হয়ে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই