নিজস্ব প্রতিবেদক ● শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উচ্চতর গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং উচ্চতর গবেষণার জন্য সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উচ্চতর গবেষণায় বিনিয়োগের মাধ্যমে মানসম্পন্ন বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) অডিটরিয়ামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচি সংক্রান্ত এসব কর্মশালা ও চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গবেষণা ও জ্ঞান চর্চা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। ‘প্রযুক্তি-জ্ঞান’ শুধু আমদানি করার মানসিকতা বদলাতে হবে। আমাদের নিজস্ব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও তার ব্যবহার করতে হবে। যাতে আমরা জ্ঞান ও প্রযুক্তি রপ্তানি করতে পারি, সেই জায়গায় আমাদের যেতে হবে।’
তিনি বলেন, উচ্চতর এবং ফলিত গবেষণার জন্য ২০১০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ১১৩টি গবেষণা প্রকল্পে ২১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। চলমান গবেষণা কার্যক্রমের আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, নায়েমের মহাপরিচালক অধ্যাপক প্রফেসর মো. হামিদুল হক, গবেষণা বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাউদ্দিন আহম্মেদ এবং ব্যানবেইসের পরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বক্তৃতা করেন।
পরে শিক্ষামন্ত্রী ১৬৬টি গবেষণা প্রকল্পের অনুকুলে ১২ কোটি ৬০ লাখ ২২ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন। ১০টি প্রকল্পের ৩য় কিস্তি, ৮০টি প্রকল্পের ২য় কিস্তি এবং ৭৬টি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। গবেষণা প্রকল্পের অনুদান, মুখ্য গবেষক ও সহকারি গবেষকের সম্মানী হিসেবে এ চেক দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গাণিতিক বিজ্ঞান, জীবন সম্পর্কিত বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, আইসিটি, মেরিন সাইন্স এবং এসডিজি ও ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক গবেষণার জন্য এ অনুদান দেয়া হচ্ছে।