প্রশ্ন: ইচ্ছাকৃতভাবে জামাতে নামাজ আদায় না করলে কি গুনাহ হবে?
উত্তর: প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের জন্য জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। বিনাকারণে জামাত ছেড়ে দিলে ব্যক্তি গুনাহগার হবে।
নবীজি (সা.) কখনও জামাত তরক করতেন না। এমনকি অসুস্থ অবস্থায় যখন তিনি হাঁটতে পারতেন না, তখনও দুই সাহাবির কাঁধে ভর করে পা টেনে টেনে নামাজের জামাতে হাজির হয়েছেন। জামাতবিহীন একা একা নামাজ পড়েননি।
এমনকি নবীজি (সা.) তো এতটুকুও বলেছেন— ‘আমার তো মনে চায় মুয়াজ্জিনকে আজান দিতে বলব এবং কাউকে নামাজ পড়াতে বলব আর আমি আগুনের অঙ্গার নিয়ে যাব, যে আজান শুনার পরও মসজিদে জামাতে হাজির হওয়ার জন্য বের হয়নি- তার ঘর জ্বালিয়ে দিই।’ (বুখারি, মুসলিম)।
তিনি আরও বলেন, ‘কোথাও যদি তিনজন মানুষ থাকে, আর তারা যদি জামাতে নামাজ না পড়ে, তা হলে শয়তান তাদের ওপর বিজয়ী হয়ে যাবে। কাজেই তুমি জামাতে নামাজ পড়াকে কর্তব্য মনে কর।’ (নাসায়ি)
তিনি আরও বলেন, ‘সেই ব্যক্তির ওপর আল্লাহর অভিশাপ, যে আজান শুনেও জামাতে উপস্থিত হয় না।’ (মাজমাউজ্জাওয়াইদ)।
তবে নিচের বিষয়সমূহের কারণে অপারগতা প্রকাশ পেলে জামাতে শরিক না হলেও গুনাহগার হবে না। বিষয়সমূহ নিম্নরূপ— ১. অসুস্থতা, ২. হাত-পা কেটে যাওয়া, ৩. অন্ধ হওয়া, ৪. প্যারালাইজড হওয়া, ৫. মাত্রাতিরিক্ত দুর্বলতা, ৬. অধিক বৃষ্টি, ৭. রাস্তা কর্দমাক্ত হওয়া, ৮. অতিমাত্রায় শীত পড়া, ৯. ভয়ানক অন্ধকার হওয়া, ১০. সম্পদ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকা, ১১. মানহানির আশঙ্কা, ১২. প্রাণনাশের ভয় ইত্যাদি।