পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : টানা ভারি বর্ষণের কারণে নজিরবিহীন বন্যায় জার্মানিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৮১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রায় ১৩০০ মানুষের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। শুক্রবারের (১৬ জুলাই) প্রতিবেদনে সবশেষ এই খবর জানিয়েছে বিবিসি।
রেকর্ড বৃষ্টিপাতের পর ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলো প্লাবিত হয়ে ওই অঞ্চলের বিপর্যয় ডেকে এনেছে। জার্মানি ছাড়াও বেলজিয়ামে বিরুপ আবহাওয়ায় আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজনীতিবিদরা এর জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, বন্যাদুর্গত আরভেইলার অঞ্চলে অনেক মানুষ নিখোঁজ। এতে করে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হেলিকপ্টার দিয়ে বন্যাদুর্গত ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষজনকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
জার্মানির রাইনল্যান্ড-পালাটিনাটে ও নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ ও সুইজারল্যান্ডের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তবে এসব দেশ থেকে এখনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। এছাড়া বন্যাকবলিত নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্য সরকারের প্রধান আর্মিন ল্যাশেট বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিরুপ আবহাওয়াকে দায়ী করেছেন।
তিনি সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘আমরা বারবার এই জাতীয় ঘটনার মুখোমুখি হবো এবং এর অর্থ আমাদের জলবায়ু সুরক্ষার জন্য অতিসত্ত্বর ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি শুধু একটি রাষ্ট্রের ব্যাপার নয় এটা গোটা বিশ্বের জন্য উদ্বেগের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া ও এই কারণে ঘটা দুর্যোগের সংখ্যা আগামীতে আরও বাড়বে। তবে কোনো একটি ঘটনাকে দিয়ে এর ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। গোটা বিশ্ব আগামীতে এ রকম আরও নানান সংকটের মুখে পড়বে।