জালিমের পরিণতি | সাখাওয়াত রাহাত
(গল্প শুধু গল্প নয়)
কাতার প্রবাসী হেলাল সাহেব জরুরি কাজে সকাল বেলা বাসা থেকে বের হয়েছেন। কাজ শেষে ফেরার পথে শহরের ব্যস্ত রাস্তায় এক লোককে দেখে যারপরনাই আশ্চর্য হলেন। লোকটির ডানহাত কাঁধ পর্যন্ত কাটা ছিল! সে হাঁটছে আর আর্তনাদ করে বলছে: আমাকে দেখে শিক্ষা গ্রহণ করো! কারো ওপর কখনো জুলুম[১] করো না! জুলুম খুবই গর্হিত একটি অপরাধ!
আসা যাওয়ার পথে উৎসুক পথচারীরা কৌতুহল নিয়ে তাকে দেখছিল। কিন্তু কেউ তার কাছে ঘেঁষছিল না। তবে হেলাল সাহেব রাজ্যের বিস্ময় নিয়ে তার কাছে গেলেন। জিজ্ঞেস করলেন: ভাই! আপনার এই অবস্থা কেন? আপনি এসব কী বলছেন? আর কেনইবা আপনার হাত কাটা গেল?
কাটা হাতওয়ালা লোকটি উত্তর দিল: ভাই আমার গল্পটা বড়ই আশ্চর্যজনক ও বিরল! মূলত আমি জালেমদের সমর্থক ও সঙ্গী ছিলাম। মানুষের ওপর বিভিন্নভাবে জুলুম-নির্যাতন চালাতাম।
একদিন বিকেলে নদীর পাড় দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম- কৃশকায় এক প্রবীন জেলে মস্ত বড় একটা মাছ পেয়েছে! সদ্য ধরা পড়া মাছটা খুব লাফালাফি করছিল! মাছটা আমার ভীষণ মনে ধরল!
আমি তার কাছে গিয়ে বললাম: এই বুড়ো! মাছটা আমার পসন্দ হয়েছে। এটা আমাকে দিয়ে দাও! তুমি আরেকটা ধরে নিও!
জেলে বলল: সারাদিনে আমি এই একটা মাছই পেয়েছি। এটা কিছুতেই আপনাকে দিতে পারব না। কেননা এটা বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে আমি আমার বউ-বাচ্চাদের জন্য বাজার সদাই করব।
সে মাছ দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমি তার ওপর চড়াও হই! তাকে গালিগালাজ করতে করতে একপর্যায়ে ডানহাত দিয়ে এমন জোরে একটা থাপ্পড় মারি যে, সে কয়েক হাত দূরে ছিটকে পড়ে! এরপর মাছ নিয়ে আমি সোজা বাড়ির পথ ধরি!
আমি যখন মাছটিকে নেওয়ার জন্য ওঠালাম তখন সেটি আমার ডানহাতের আঙুলে দাঁত বসিয়ে দিল! আঙুল থেকে তৎক্ষণাৎ কিছু রক্তক্ষরণও হলো! ব্যাথা পেলেও আমি ব্যাপারটা খুব উপভোগ করলাম! কারণ, যেই মাছের যত তেজ, সেই মাছ খেতে ততই সুস্বাদু!
মাছ নিয়ে বাড়ি পৌঁছতে পৌঁছতে ব্যাথাটা ক্রমশ বাড়তে লাগল। একসময় তা অস্বস্তিকর হয়ে ওঠল। বাড়ি পৌঁছে দেখি আঙুলগুলো নীল রঙ ধারণ করেছে! অসহ্য ব্যাথায় আমি নাওয়া-খাওয়া ভুলে গেলাম! বিছানায় সারাটা রাত আমার ছটফট করতে করতে কাটল!
সকালে ডাক্তারের কাছে গিয়ে হাত দেখালাম। ততক্ষণে পুঁজ জমে আঙুলগুলো ফোলে-ফেঁপে ওঠেছে! ডাক্তার বেশ কিছুক্ষণ ধরে আঙুলগুলো দেখলেন। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বললেন: আঙুলে পঁচন ধরেছে! এগুলো কেটে ফেলে দিতে হবে! অন্যথায় জীবাণু পুরো হাতে ছড়িয়ে পড়তে পারে!
ব্যাথার উপশম করতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আমি আঙুল কাটিয়ে নিলাম। কিন্তু এরপর হাতের তালুতে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হলো! কলজেছেঁচা ব্যাথায় আমি কুঁকড়ে ওঠলাম! সবকিছু আমার কাছে বিষাক্ত লাগছিল! এক সপ্তাহ আমি চোখের পাতা মেলাতে পারিনি। আরামের ঘুম আমার জন্য হারাম হয়ে গেল! ফলে আমি আবার ডাক্তারের শরণাপন্ন হলাম।
ডাক্তার আমার হাতের তালু দেখে চমকে গেলেন। জানালেন- তালুতে পঁচন ধরেছে; তাই কব্জি পর্যন্ত হাত কেটে ফেলে দিতে হবে! অন্যথায় অবস্থার আরো অবনতি ঘটতে পারে!
অসহনীয় ব্যাথা থেকে বাঁচতে আমি এমনটাই করলাম। কিন্তু ব্যাথা এবার উপরের দিকে উঠতে লাগল। আমি কী করব কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না। নির্ঘুম রাত ও যন্ত্রণার প্রকোপে আমার পাগল হবার দশা হলো। তাই দশদিন পর আবারো ডাক্তারের চেম্বারে ধর্না দিলাম।
আমাকে চেম্বারে দেখে ডাক্তার ভ্রু-কুঞ্চিত করে জিজ্ঞেস করলেন: কী অবস্থা আপনার? আমি কোনো উত্তর না দিয়ে তাকে হাত দেখালাম। হাত দেখে তিনি আঁতকে ওঠলেন। তাঁর চোখ বড় হয়ে গেল। তিনি ব্যাথার অবস্থান জেনে বললেন: ব্যাথা থেকে বাঁচতে হলে কনুই পর্যন্ত হাত কাটা ছাড়া কোনো উপায় নেই!
আমি বললাম: ডাক্তার সাহেব! আমি এই সীমাহীন যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে চাই। এর জন্য যা কিছু করা দরকার; আমি করতে রাজি। এরপর ডাক্তার কনুই পর্যন্ত আমার হাত কেটে ফেললেন।
বাড়ি ফিরে আমি অল্প কিছুক্ষণ ব্যাথা মুক্ত ছিলাম। দীর্ঘদিন নির্ঘুম থাকার কারণে দেয়ালে হেলান দিয়েই আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু এরপর প্রচণ্ড ব্যাথায় আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। এবার ব্যাথাটা হাতের বাহুতে। আমি বুঝে গেলাম- কাঁধ পর্যন্ত হাতটা কেটে ফেলতে হবে!
ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর তিনি আমাকে এমনটাই পরামর্শ দিলেন। বললেন: যদি দ্রুত অপারেশন না করা হয় তাহলে পুরো শরীরে ব্যাথা ছড়িয়ে পড়তে পারে! অগত্যা আমি তাই করলাম।
অপারেশন শেষে ডাক্তার আমাকে জিজ্ঞেস করলেন: আচ্ছা, বলুন তো আপনি কীভাবে ব্যাথা পেয়েছিলেন? আমি তাঁকে মাছের ঘটনার আদ্যোপান্ত তাঁকে শোনালাম।
সবশুনে তিনি বললেন: হায় আল্লাহ! আপনি যদি প্রথমেই জেলেচাচার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতেন, কান্নাকাটি করে তাঁকে রাজি করাতে পারতেন, কোনোভাবে মাছটি আপনার জন্য হালাল করতে পারতেন তাহলে হয়তো আপনার হাত এমনকি আঙুলও কাটা লাগত না! তাই কালক্ষেপণ না করে এখনই যান। তাঁকে খুঁজুন। তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তাঁকে রাজি-খুশি করুন। তাঁর মনের ব্যাথা দূর হলে আপনার শরীরের ব্যাথাও দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
তাঁর পরামর্শ আমার কাছে যথাযথ মনে হলো। আমি চেম্বার থেকে বেরিয়ে পুরো শহরে তাঁকে খুঁজতে লাগলাম। শেষমেষ দুদিন পর এক জায়গায় তাঁর দেখা পেলাম।
তাঁকে দেখা মাত্রই আমি তাঁর পায়ে পড়লাম। বাম হাতে তাঁর পা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললাম: চাচা! আল্লাহর দোহাই দিয়ে বলছি, আমাকে মাফ করে দিন। আপনার ওপর জুলুম করে আমি বড় অন্যায় করে ফেলেছি।
জেলেচাচা কিছুটা বিব্রত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন: আপনি কে? আমার পা ধরেছেন কেন? আর কেনইবা আমার কাছে মাফ চাচ্ছেন?
আমি বললাম: চাচা! আমি সেই পাপিষ্ঠ যে আপনার কাছ থেকে জোর জবরদস্তি করে মাছ ছিনিয়ে নিয়েছিল! আপনার গায়ে হাত তুলেছিল! আপনার চোখের পানি ঝরিয়েছিল!
এরপর আমি তাঁকে আমার কাটা হাত দেখিয়ে সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম। এসব শুনে তাঁর চোখ ভিজে গেল। তিনি বললেন: মান! আমি ওই মাছটিকে আপনার জন্য হালাল করে দিলাম। আপনাকে মাফ করে দিলাম। কেননা ইতোমধ্যেই আপনি আপনার অপরাধের শাস্তি ভোগ করেছেন!
আমি তাকে বললাম: চাচা! আল্লাহর ওয়াস্তে একটা কথা বলুন- আমি যখন আপনার মাছ ছিনিয়ে নিয়েছিলাম; তখন আপনি কি আমাকে কোনো অভিশাপ দিয়েছিলেন?
তিনি বললেন: হ্যাঁ, আমি সেসময় কায়মনোবাক্যে এই প্রার্থনা করেছিলাম- হে আল্লাহ! এই লোকটি তার পেশীশক্তি ও বাহুবলের বাহাদুরিতে আমার ওপর বিজয়ী হয়েছে, আপনি আমাকে যেই রিজিক দিয়েছিলেন তা ছিনিয়ে নিয়েছে, আমার প্রতি জুলুম করেছে এজন্য আপনি তার ওপর আপনার কারিশমা দেখান। তাকে আপনার শক্তির জানান দিন।
আমার মালিক আল্লাহ তায়ালা আপনার ওপর তাঁর শক্তি প্রদর্শন করেছেন। আপনাকে উচিত শাস্তি দিয়েছেন।
জেলেচাচা আমাকে মাফ করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমার সমস্ত ব্যাথা দূর হয়ে গেল। ব্যাথা থেকে মুক্তি পেয়ে নিজেকে আমার পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হলো। জুলুমের শাস্তি কত ভয়াবহ তা যেহেতু আমি ভোগ করেছি; তাই অন্য কেউ যেন আর জুলুম করে এমন মর্মন্তুদ শাস্তির মুখে না পড়ে সে উদ্দেশ্যে আমি মানুষকে সাবধান করছি!
সমস্ত ঘটনা শুনে হেলাল সাহেব বললেন: হে আল্লাহ! আমি খাঁটি মনে তাওবা করছি- কখনো কারো ওপর জুলুম করবে না।
জালেমদের সঙ্গ ও সমর্থন দেব না। ইনশাআল্লাহ যতদিন বেঁচে থাকব; স্বীয় ওয়াদার ওপর অটল থাকব।
#প্রিয় পাঠক! জুলুম একটি সামাজিক ব্যাধি। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এর বিচরণ। অথচ ইসলামে সব ধরনের জুলুম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ও হারাম। শুধু জুলুম নয়, জুলুমের সহযোগিতা করা এবং জালিমদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা ও ঘনিষ্ঠতা রক্ষা করাও হারাম। আল্লাহ তায়ালা বলেন,’আর তোমরা জালেমদের প্রতি ঝুঁকে পড়বে না, জালেমদের সহযোগী হবে না, তাহলে (জাহান্নামের) আগুন তোমাদেরও স্পর্শ করবে।'[২]
আল্লাহ তায়ালা নিজের জন্যও এটিকে হারাম করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে কুদসিতে আল্লাহর কথা বর্ণনা করে বলেন, ‘হে আমার বান্দা, আমি নিজের ওপর জুলুম হারাম করেছি এবং তোমাদের জন্যও তা হারাম করেছি। অতএব তোমরা একে অপরের ওপর জুলুম কর না।’[৩]
জুলুম এমন এক ভয়াবহ অপরাধ যার শাস্তি কোনো না কোনোভাবে দুনিয়ার জীবনেও ভোগ করতে হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দুটি পাপের শাস্তি আল্লাহ তায়ালা আখিরাতের পাশাপাশি দুনিয়ায়ও দিয়ে থাকেন। তা হলো, জুলুম ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার শাস্তি।’[৪]
জালেমদেরকে আল্লাহর বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর হুংকার দিয়ে তিনি বলেন,’জালেমরা যা করে, সে সম্পর্কে আল্লাহকে কখনও বেখবর মনে করো না তাদেরকে তো ঐ দিন পর্যন্ত অবকাশ দিয়ে রেখেছেন, যেদিন চক্ষুসমূহ বিস্ফোরিত হবে। তারা মস্তক উপরে তুলে ভীত-বিহ্বল চিত্তে দৌড়াতে থাকবে। তাদের দিকে তাদের দৃষ্টি ফিরে আসবে না এবং তাদের অন্তর উড়ে যাবে।'[৫]
মানুষের প্রতি জুলুম করলে শুধু তাওবাই যথেষ্ট নয়; বরং জুলুমের শিকার ব্যক্তির অধিকার আদায় করা, তাকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং তার কাছে ক্ষমা চাওয়াও আবশ্যক। কেননা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের ওপর জুলুম করেছে সে যেন তার কাছ থেকে ক্ষমা নিয়ে নেয়, তার ভাইয়ের পক্ষে তার আমলনামা থেকে পুণ্য কেটে নেওয়ার আগেই। কারণ সেখানে কোনো দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) বা দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) পাওয়া যাবে না। তার কাছে যদি পুণ্য না থাকে তবে তার (মজলুম) ভাইয়ের গুনাহ তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।'[৬]
জুলুমের মাধ্যমে উপার্জিত সম্পদ কেয়ামতের দিন জালিমের গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হবে! হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কারো জমি জোর-জবরদস্তি করে কেড়ে নেবে কিয়ামাতের দিন সাতস্তর জমি তার গলায় ঝুলিয়ে দেয়া হবে।'[৭]
কাউকে দুর্বল পেয়ে তাঁর প্রতি জুলুম করবেন না। তাকে নিজের শক্তির বাহাদুরি দেখাতে যাবেন না। ভুলে যাবেন না- যারা দুর্বল তাদের শক্তি হলো হৃদয়ের গভীর থেকে আসা ‘আহ্’ শব্দ! তাদের শক্তি আল্লাহর কাছে বিচার প্রার্থনা! তাদের শক্তি তাদের অভিশাপ, বদদোয়া! আর মাজলুমের বদদোয়া কবর পর্যন্ত পিছু ছাড়ে না! এজন্য কারো ওপর জুলুম করবেন না। মাজলুমের অভিশাপ থেকে বেঁচে থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করুন। তাদের অশ্রুফোঁটা ও অন্তরের অভিশাপকে ভয় করুন। কেননা মজলুম বা নিপীড়িতের দোয়া কখনো ব্যর্থ হয় না।
প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া আল্লাহর কাছ থেকে ফেরত আসে না।
১) ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া।
২) ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া।
৩) মজলুমের দোয়া।
আল্লাহ তায়ালা তাদের দোয়া মেঘমালার ওপরে তুলে নেন এবং তার জন্য আসমানের দরজাগুলো খুলে দেন। মহান রব বলেন, আমার সম্মানের শপথ, কিছুটা বিলম্ব হলেও আমি তোমাকে অবশ্যই সাহায্য করব।'[৮]
তাই আসুন সকল প্রকার জুলুম থেকে নিজেও বাঁচি, অন্যকেও বাঁচাই। আল্লাহ তায়ালা তাওফিক দান করুন।
________________________________________
[১] জুলুম আরবি শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ অত্যাচার করা, অবিচার করা, কাউকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা বা অন্যায়ভাবে কাউকে শারীরিক মানসিক বা আর্থিক কষ্ট দেওয়া। ইসলামের পরিভাষায় কারো প্রতি অন্যায় অবিচার কিংবা কারো হক নষ্ট করাকে ‘জুলুম’ বলে। যে ব্যক্তি জুলুম করে তাকে ‘জালিম’ আর যার প্রতি জুলুম করা হয় তাকে বলা হয় ‘মজলুম’।
[২] আল কুরআন; ১১:১১৩
[৩] মুসলিম শরিফ; হাদিস নং ৬৭৩৭
[৪] তিরমিজি শরিফ; হাদিস নং ২৫১১
[৫] আল কুরআন; ১৪:৪২-৪৩
[৬] বুখারি শরিফ; হাদিস নং ৬৫৩৪
[৭] বুখারি শরিফ; হাদিস নং ২২৭৫
[৮] তিরমিজি শরিফ; হাদিস নং ৩৫৯৮