জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য হাস্যকর : মির্জা ফখরুল

জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য হাস্যকর : মির্জা ফখরুল

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ যে নেই, তা খালেদা জিয়াসহ বিএনপির নেতারাও ভালো করে জানেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, আজকেই আওয়ামী লীগের সভানেত্রী যিনি একটা অত্যন্ত নিশিরাতের ভোটের মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে্ছেন। তিনি আজকেও আবার বিষোদগার করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের বিরুদ্ধে। তিনি তার মাজার সম্পর্কে কথা বলেছেন, তার একাত্তর সালের যুদ্ধের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেছেন। এটা একটা হাস্যকর বক্তব্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) রেখেছেন।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে ২১ আগস্ট একটি সুদুরপ্রসারী চক্রান্ত বাংলাদেশকে আবার গণতন্ত্রহীন করার জন্য, বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নগুলোকে ভেঙে চুরমার করে দেয়ার জন্য, বাংলাদেশ যে একটি সত্যিকার অর্থে সুখী-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মিত হবে, সেই স্বপ্নকে পুরোপুরি ভেঙে দেয়ার জন্য ২১ আগস্ট। আর ২১ আগস্ট এবং ১/১১ সেজন্য কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ১/১১ ঘটনার জন ২১ আগস্ট ছিলো একটা প্রাথমিক চক্রান্ত। ঝূঁকিটা বড় ছিলো। আমরা এই ধরনের যে ঘটনা বলুন, দুর্ঘটনার বলুন আমরা এর ঘোরতর বিরোধী।

তিনি বলেন, ২১ আগস্টের পুরো বিষয়টা ছিলো একটা রাজনৈতিক বিষয়, প্রতিহিংসা ও চক্রান্তের রাজনীতির বিষয়। বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে দেয়া হবে না, বাংলাদেশকে একটা তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে, বাংলাদেশের মানুষের অধিকারগুলোকে ছিনিয়ে নেয়া হবে এবং সত্যিকার অর্থেই এদেশকে একটা নতজানু দেশ হিসেবে পরিণত করা হবে-সেটাই ছিলো উদ্দেশ্য, তার একটা অংশ ২১ আগস্ট।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের আইনজীবিবৃন্দ, আলোচকবৃন্দ যারা এখানে বক্তব্য রেখেছেন, বিশেষ করে আমাদের প্রধান অতিথি তারেক রহমান তিনি যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন- এটাতে প্রমাণিত হয়েছে যে, ২১ আগস্ট ছিলো সম্পূর্ণভাবে একটা সাজানো নাটক এবং সাজানো নাটকের ফলেই আওয়ামী লীগ আজকে ক্ষমতায় বসে আছে। সেজন্য আমরা খুব পরিস্কার করে বলতে পারি- ওই ঘটনার বেনিফেসিয়ারি হচ্ছে আওয়ামী লীগ। সেই কারণে আজকে তারা এটাকে ভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে চায়।

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *