- ইবন হাশিম
জুমআর দিন সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতম দিন, পুন্যময় দিন। এই দিনটিকে আমাদের পূর্বসূরি ওলামা ও সাধকগণ আমলে ও পুন্যকাজে ব্যয় করতেন। এই দিনে সালাফের তেমনই কিছু আ’মাল সম্পর্কে চলুন জেনে নেই—
ইবনু আসাকির উল্লেখ করেন, সালত ইবনে বাসতাম দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেললেন, তার শিষ্যরা জুমআর দিনে আসরের পরে সম্মিলিতভাবে তার জন্য দু’আ করতে লাগলেন। সালত ইবনে বাসতাম সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পূর্বে একটা হাঁচি দিলেন আর সাথে সাথে তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে এলো।
(তারিখু দিমাশক)
ফাতেমা –রাদিয়াল্লাহু আনহা– জুমআর দিন বিকেলে তার গোলমকে সূর্যের অবস্থান দেখতে বাইরে পাঠাতেন। গোলাম এসে যখন খবর দিতো যে, সূর্য ডুবতে যাচ্ছে তখনই তিনি দু’আয় মশগুল হয়ে যেতেন সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
(ফাতহুল বারী, কিতাবুল জুমআহ)
যার জুমু’আর দিন ঠিক তার সারা সপ্তাহ ঠিক — জনৈক সালাফ
মুফাদ্দাল ইবনে ফুদালাহ জুমু’আর দিনে আসরের নামাজ পড়ে মসজিদের এক কোনে বসে যেতেন, সূর্যাস্ত পর্যন্ত মোনাজাত ও রোনাজারিতে মশগুল থাকতেন।
(আখবারুল কুদাত)
তাবেঈ তাউস ইবনে কায়সান জুমু’আর দিনে আসর নামাজের পর কেবলামুখী হয়ে বসে যেতেন সূর্যাস্ত পর্যন্ত কারো সাথে কোনো কথা বলতেন না।
(তারিখুন ওয়াসিত)
তাবেঈ সাইদ ইবনু জুবাইরও একই আমল করতেন।
(যাদুল মা’আদ)
হাফেজ ইবনুল কাইয়্যীম বলেন, ফযিলতের এই সময়টুকু হলো আসরের পরের সর্বশেষ অংশ (অর্থাৎ, সূর্যাস্তের আগ মুহুর্ত)
(যাদুল মা’আদ)
লেখক, মুফতি ও আরবী ভাষাবিদ