জুয়েলারি এক্সপোতে ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে হাসি

জুয়েলারি এক্সপোতে ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে হাসি

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সোনার অংলকার প্রদর্শনীর তিনদিনের আয়োজন বাংলাদেশ জুয়েলারি এক্সপো-২০২২-এ বেচাকেনা ভালো হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতারা আনন্দিত।

দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের আয়োজনে অংশ নিয়ে গহনা বিক্রি করতে পেরে আশান্বিত বিক্রেতা আর মেলার আয়োজন করে সোনার গহনায় মুজুরি ছাড়া শুধু সোনার দামে গহনা কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা।

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার ১, ২ ও ৩ নম্বর হলে ১৭ মার্চ শুরু হয়েছে সোনার গহনা প্রদর্শনীর তিনদিনের এক্সপো। এতে অংশ নিয়েছে দেশের প্রায় একশ জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান।

সোনা ও ডায়মন্ডের মূল্যবান গহনার এমন প্রদর্শনী দেশে প্রথম হলেও ক্রেতাদের আশানুরূপ সাড়া পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার গুলজার আহমেদ বলেন, দেশে সোনার গহনা প্রদর্শনীর এমন আয়োজন এবারই প্রথম। তবে তিনদিনের আয়োজনে কাস্টমারদের এত সাড়া মিলবে কল্পনাও করতে পারিনি। মেলায় সময়সীমা বাড়ানো গেলে আরও বেশি জমজমাট হতো বেচাকেনা।

তিনি আরও বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সোনার অংলকারের ব্যবসা করলেও এক্সপো আয়োজনের উদ্যোগ কেউ নেয়নি। বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর বাজুসের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর জুয়েলারি এক্সপো করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য প্রেসিডেন্টকে বিশেষ ধন্যবাদ। সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে আমরা এখন থেকে প্রতি বছর জুয়েলারি এক্সপো করতে পারবো বলে আশা করছি।

স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মেলায় এসেছেন আবুল হোসেন। তিনি বলেন, সোনার গহনা প্রদর্শনীর এমন আয়োজন দেশে প্রথম। সুশৃঙ্খল ও নিরাপত্তার সঙ্গে মেলা চলছে, এটা দেখে খুব ভালো লাগছে। মেলায় অনেক ছাড়ে গহনা পাওয়া যাচ্ছে। যেটা অন্য সময়ে দেওয়া না। যে কারণে মেলা থেকে কেনার ইচ্ছা না থাকার পরও কিনেছি।

মেলায় অংশ নেওয়া ফেন্সী জুয়েলার্সের মালিক সমিত ঘোষ অপু বলেন, আমাদের দেশে সোনার গহনা প্রর্দশনীর এমন আয়োজন নতুন হলেও ক্রেতাদের ভালো সাড়া পেয়েছি। বেচাকেনাও হয়েছে। মেলায় কাস্টমারদের জন্য বিভিন্ন পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়েছি। আগামীতে এ ধরনের আয়োজন আরও জমজমাট হবে বলে আশা করি।

তিনি আরও বলেন, কাস্টমাররা সবসময় দোকানে গিয়ে সোনার অলংকার কেনেন। বাংলাদেশের কারিগরদের হাতে তৈরি নিখুঁত সোনার গহনা বেচাকেনার এমন এক্সপো দেশের পাশাপাশি বিদেশি কাস্টমারের কাছে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মেলায় আগত আবু রায়হান নামে আরেক দর্শনার্থী বলেন, সোনার গহনার প্রদর্শনী হয়েছে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারিনি। তাই সরাসরি দেখতে চলে এসেছি। খুবই ভালো লেগেছে। মেলার আয়োজন করে অলংকার কেনাবেচার ব্যাপারটা সবার নজর কেড়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে দেশের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) আয়োজনে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ জুয়েলারি এক্সপো-২০২২। এ মেলার পর্দা নামছে শনিবার (১৯ মার্চ)।

প্রতি দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পেরেছেন। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য র‌্যাফেল ড্রতে নগদ ১০ লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার, ৫ লাখ টাকার দ্বিতীয় পুরস্কার এবং তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে পরবর্তী ১০ জনের জন্য রয়েছে ১ লাখ টাকা করে। মেলায় সাংবাদিকদের জন্য থাকবে আলাদা র‌্যাফেল ড্র।

এক্সপোতে মোট প্রায় একশটি স্টল রয়েছে। দেশ-বিদেশের ক্রেতা-বিক্রেতারা এতে অংশ নিয়েছেন। এর মাধ্যমে দেশের স্বর্ণশিল্পীদের হাতে গড়া নিত্যনতুন ডিজাইনের অলংকারের পরিচিতি ঘটবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *