জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতিতে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীহ ৮ জনের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী আদালতে মামলার সাক্ষি কামাল হোসেন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

দুুপুর আড়াইটার শুরু হওয়া এ সাক্ষ্য গ্রহণে প্রথমে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর আসামি পক্ষে আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন। এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় আগামী ৩ সেপ্টেম্বর আদালত পরবর্তী জেরার দিন ঠিক করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউর আব্দুল্লাহ আবু, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শিহাব উদ্দিন, ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান সাক্ষ্য গ্রহণের সহায়তা করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবরিনার স্বামী প্রতিষ্ঠানিটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা আক্তার পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস ওরফে বিপুল দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা রুমা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সাক্ষ্যগ্রহণকালে সকল আসামিকেই কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, এ মামলায় গত ২২ জুন জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে আটক করে পুলিশ। হিরু স্বীকারোক্তি দিয়ে জানায়, সে ভুয়া করোনা সার্টিফিকেটের ডিজাইন তৈরি করতো। যার সাথে জেকেজি গ্রুপের লোকজন জড়িত। ওই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জেকেজির সিইও আরিফুলসহ চারজনকে আটক করে। সিইওকে জানায়, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর জ্ঞাতসারেই সব কিছু হয়েছে। এরপর গত ১২ জুলাই ডা. সাবরিনা চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়ে ১৩ জুলাই ৩ দিনের রিমান্ডে যায়। ওই রিমান্ডের পর ১৭ জুলাই তার ফের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। আর মামলায় গত ২৩ জুন আরিফ চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে যায়। পরবর্তীতে গত ১৫ জুলাই তাকে ফের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে সকল আসামিই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক (সাময়িক বরখাস্ত)। সাবরিনা আরিফের চতুর্থ স্ত্রী। তার প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী রাশিয়া ও লন্ডনে থাকেন। তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তালাক হয়েছে তার। চতুর্থ স্ত্রী ডা. সাবরিনার কারণেই করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজ পায় জেকেজি হেলথকেয়ার। প্রথমে তিতুমীর কলেজ মাঠে স্যাম্পল কালেকশন বুথ স্থাপনের অনুমতি মিললেও প্রভাব খাটিয়ে ঢাকা, নায়ায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ৪৪টি বুথ স্থাপন করেছিল। নমুনা সংগ্রহের জন্য মাঠকর্মী নিয়োগ দেয়া তারা। তাদের হটলাইন নম্বরে রোগীরা ফোন দিলে মাঠকর্মীরা বাড়ি গিয়ে এবং বুথ থেকেও নমুনা সংগ্রহ করতেন। এভাবে নমুনা সংগ্রহ করে তারা ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট প্রদান করেন। যার মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটি জাল-জালিয়াতির মধ্যেমে তৈরি করে। প্রত্যেক সার্টিফিকেট প্রদানের বিনিময়ে তারা ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *