জেনারেল শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করে কওমি সনদকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান

জেনারেল শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করে কওমি সনদকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কওমি মাদ্রাসার পাঠ্য সিলেবাসে জেনারেল শিক্ষাকে আরও ভালোভাবে অন্তর্ভুক্ত করে পাশাপাশি বোর্ডগুলোর নিজস্ব তত্ত্বাবধানে পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি ও অনার্স লেভেল চালু করে কওমি সনদকে সত্যিকারের মাস্টার্সের মান দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আলেমরা।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বাংলাদেশের এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নিজেদের পরিচালিত মাদ্রাসাগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অন্তর্ভুক্তকরণ ও জাতীয় ও কারিগরি শিক্ষার সমম্বয়ে কওমি সিলেবাস প্রণয়ন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

নতুন এ কওমি শিক্ষাবোর্ডের মহাসচিব মুফতি উসামা ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৫০ বছর বছর পরে দেশের কওমি মাদ্রাসায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আমরা পাঠ্য করেছি বেসরকারি উদ্যেগে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে লক্ষাধিক কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের হাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সমৃদ্ধ পাঠ্যবই তুলে দেব। জাতি হিসেবে আমাদের দুভার্গ্য যে, এই অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের জন্য আমাদের দীর্ঘ ৫০ বছর অপেক্ষা করতে হলো। এমন একটি মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল।

এ সময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের উপদেষ্টা বর্ষীয়ান আলেমেদ্বীন শায়খুল হাদীস আল্লামা আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী, মুফতী ইয়াহইয়া মাহমুদ কাসেমী, শিক্ষা সিলেবাস ও গবেষনা পরিচালক বিশিষ্ট লেখক মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ, তথ্য প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক মাওলানা মুআজ বিন নূর, জাতীয় ফিকহী বোর্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মুফতি আজীমুদ্দীন, বোর্ডের ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা জিয়াউর রহমান, প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচাল সৈয়দ মাসুম আহমদ প্রমুখ।

জাতীয় ও কারিগরি শিক্ষার সমন্বিত কওমি সিলেবাস চালু করার কথা বোর্ডটি জানিয়ে মহাসচিব মুফতি উসামা ইসলাম বলেন, কোন একটি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে বাস্তবমুখী কর্মবান্ধব যুগোপযোগী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রেখে একটি দেশের টেকসই ও লাগসই ফলপ্রসূ উন্নয়ন আদৌ সম্ভব নয়। তারা দাবি করেন, এদেশে আমরাই প্রথম কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাকে তথ্য প্রযুক্তি ও ডিজিটালকরণের আওতায় এনেছি।

আমরা চাচ্ছি, দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোও তথ্যপ্রযুক্তি ও ডিজিটাল সমৃদ্ধ হোক। আগামী দিনে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের জীবনযাত্রা ও কর্মপ্রদ্ধতির মানকে আরো উন্নতি করতে পারবে।

জাতীয় কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নেতারা উল্লেখ করেন, বর্তমানে দেশের প্রতিটি কওমি বোর্ড ভিন্নভিন্ন পদ্ধতিতে শিক্ষা কারিকুলাম পরিচালনা করে আসছে। সিলেবাসে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট রেখেও মৌলিক কিছু বিষয়ে একমুখী প্রদ্ধতিতে দেশের সব শিক্ষা ব্যাবস্থা পরিচালিত হওয়া সময়ের দাবি; যাতে জাতীয় সাধারণ শিক্ষায় কওমির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারে।

বোর্ডটির মহাসচিব মুফতি উসামা ইসলাম আরও বলেন, সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে কওমি সনদের পড়ালেখার ধারাবাহিক মান ও সাটিফিকেটে উন্নিত করা সময়ের দাবি।

দেশের ৩০ লক্ষ কওমি শিক্ষার্থীদের মনের ভাষা ও চাহিদা এটি। বোর্ডটি এসব দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তাদের বৈঠকের কথাও জানায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *