পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমানোর হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলেছেন, ২০২৩ সালের শুরু দিকে তেলের উৎপাদন পাঁচ থেকে সাত শতাংশ কমানো হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার এমন পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে। খবর রয়টার্সের।
রুশ তেলের ওপর পশ্চিমাদের মূল্যসীমা নির্ধারণের পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপের খবর সামনে এল। ইউক্রেনের ওপর হামলার জেরে পাশ্চিমারা রুশ তেলের ওপর মূল্যসীমা নির্ধারণ করে।
আলেকজান্ডার নোাভাক জানিয়েছেন, দৈনিক তেলের উৎপাদন কমানো হতে পারে পাঁচ থেকে সাত লাখ ব্যারেল।
তিনি বলেন, রাশিয়ার তেলের ওপর ইউরোপের নির্ভরশীলতা কামানো সত্ত্বেও বিশ্বজুড়ে রাশিয়ার তেলের চাহিদা বেড়েছে। তাছাড়া ক্রেতাদের ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনছে মস্কো।
নোভাক বলেন, রাশিয়ার জ্বালানি ছাড়া বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাছাড়া ইউরোপে গ্যাস সংকটেরও পূর্বাভাস দিয়েছেন তিনি।
৫ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জি-৭ ও অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলার বেধে দেয়। এছাড়াও রাশিয়ার তেলের ওপর নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এদিকে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
জো বাইডেন জেলেনস্কিকে জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে যতদিন প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্র ততদিন ইউক্রেনের সঙ্গে রয়েছে। এসময় জেলেনস্কিকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, আপনি একা নন। ইউক্রেনকে আরও দুই বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন। অঙ্গীকার করেছেন আরও ৪৫ বিলিয়ন ডলারের। পূর্ণ সমর্থন দেওয়ায় জেলেনস্কি ওয়াশিংটনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।