পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : দাবি-দাওয়া আদায়ে চলমান ধর্মঘট স্থগিত ঘোষণা করেছেন পেট্রোল পাম্প মালিকদের একাংশ। তারা জানিয়েছেন, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের কমিশনের বিষয়ে অগ্রগতি দেখে চলমান কর্মসূচি আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন তারা।
প্রসঙ্গত, রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জ্বালানি তেলের কমিশন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ করে দেয় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। এতে সকালের দিকে পাম্পে তেল পাওয়া গেলেও দুপুর গড়াতে না গড়াতে শুরু হয় তেলের জন্য হাহাকার। পাম্পে তেল ফুরিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় বেশিরভাগ পাম্পের তেল বিক্রি। এ অবস্থায় বিপিসির সঙ্গে রাতে বৈঠকে বসেছিল জ্বালানি তেলের ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে চলমান ধর্মঘটের বিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কার্যালয়ে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের একাংশের সঙ্গে বিপিসির কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর সংগঠনটির নেতারা এ ঘোষণা দেন।
বৈঠক শেষে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাজ্জাদুল করিম কাবুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কমিশনের বিষয়ে অগ্রগতি দেখে চলমান কর্মসূচি আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।’
মালিকদের একাংশের দাবি ছিল, ‘ডিজেলে ২ ভাগ, পেট্রোলের ৩ ভাগ এবং অকটেনের ৪ ভাগ কমিশন বাড়িয়ে সাড়ে সাত ভাগ করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের শিল্প থেকে বাদ দিয়ে কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া পুরাতন ট্যাংক লরি অবসরের সময় ২৫ বছর থেকে বৃদ্ধিরও দাবি জানিয়েছিলেন তারা।
এর মধ্যে জ্বালানি মন্ত্রণালয় তাদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে গেজেট প্রকাশ করেছে। কিন্তু বাকি দুই দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছিলেন।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সব দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে একসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সকল প্রকার দাবি-দাওয়া পূরণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আশ্বস্ত করা হয়। কিন্তু সব দাবি পূরণ না করায় তাদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে একাংশ ধর্মঘট শুরু করে।