২৮শে জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ২৭শে জিলকদ, ১৪৪৩ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে ১৮০টি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেছে জেলা প্রশাসন। উচ্ছেদের পর সেসকল স্থানে যেন আবার স্থাপনা না গড়তে পারে, সেজন্য কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে উচ্ছেদ অভিযানের কার্যক্রম।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, পাহাড়ের যেসব স্থাপনা ঝুঁকিপূর্ণ মনে হবে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে। উদ্ধার করা জায়গায় যেন কেউ পুনরায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে, সেজন্য কাঁটাতারের বেড়া ও পিলার দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। সেখানে গাছ লাগানো হবে। এছাড়া মানুষের চলাচলের জন্য আমরা সীমানা নির্ধারণ করে দেবো। আমরা চাই আগামী বছর থেকে পাহাড়ধসে যেন কোনো জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
তিনি আরও বলেন, পাহাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া। গত বছর আমরা ৪৬৫টি কাঁচা ও সেমি-পাকা ঘর উচ্ছেদ করেছি। যারাই পাহাড়ের ঢালুতে অবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি স্থাপন করবে, তাদের উচ্ছেদ করা হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, হাটহাজারী ও সীতাকুণ্ড এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ে বসবাস করা ২৩৫টি পরিবারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরও ৮৫টি পরিবার স্থানান্তর বাকি। আগামী জুলাই ও আগস্টের মধ্যে তাদের জন্য বরাদ্দ করা ঘরগুলো নির্মাণ হয়ে যাবে। তারপর যারা ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে পুনর্বাসন করতে পারবো। কিন্তু বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যারা পাহাড়ে বসবাস করছেন, তাদের পুনর্বাসন করা। তাদের বিষয়েও আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৭ জুন) রাতে নগরীর ফিরোজশাহ এলাকায় পাহাড় ধসে ৪ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন। একই দিন সকালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের ঢালুতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার জন্যে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। এর আগের দিন (১৬ জুন) সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়।