ঝুঁকির শঙ্কায় এআই

ঝুঁকির শঙ্কায় এআই

পাথেয় টোয়েন্টফোর ডটকম: সারাবিশ্বে এআই প্রযুক্তির বদৌলতে ভয়েস ক্লোনিং করার যে প্রবণতা সর্বত্র, তাতে বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কা করছেন ডিজিটাল বিশেষজ্ঞরা। যার ক্ষতিকর প্রভাব শিল্পক্ষেত্রেও পড়তে পারে। যারা ভয়েস ওভার শিল্পী, বাচিক শিল্পী বা নিউজ উপস্থাপক, তাদের জন্য বিপদ সংকেত।

ইতোমধ্যে এআই নিউজ উপস্থাপক খবর পরিবেশন করেছে। কৌতূহলে অনেকেই এআই নিয়ে অনেক কিছুই করছি। যার ফলে অনেকে কাজ হারাতে পারেন, তা ভেবেই দেখছি না। অর্থাৎ যারা ভয়েস, ভিডিও নিয়ে কাজ করেন, তাদের কাজ হারানোর ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। এআই প্রযুক্তির সফল ব্যবহারে প্রতিষ্ঠানের খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। ফলে প্রযুক্তিটি ব্যবহারের প্রবণতা দিনের পর দিন বাড়বেই, কমবে না।

 

রোবট সোফিয়া

অনেকেই হয়তো সোফিয়ার কথা জানেন। সে যেমন সব কথার জবাব দেয়, তেমনি সব আবেগ ও অনুভূতিও প্রকাশ করতে পারদর্শী। সে ঘটনার বিশ্লেষণে রেগে যায়, হাসে, অপলক তাকিয়ে থাকতে পারে। যার সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করা হয় এআই প্রযুক্তির ব্যবহারে। সবকিছু পারলেও সোফিয়ার তা অনুভব করার ক্ষমতা নেই।অর্থাৎ এআই দিয়ে যতই বহুমাত্রিক ভয়েস আর ভিডিও তৈরি করা হোক না কেন, ওই সবের মধ্য়ে কিন্তু কোনোভাবেই অনুভূতির চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ সম্ভব নয়। গায়কের কণ্ঠও দেবে এআই।

তবে একটা সময়ে এসে এআই প্রযুক্তির একঘেয়েমি কাটাতে মানুষ নিজেই বিরক্ত হয়ে আসল কণ্ঠস্বরের খোঁজ করবে। ফলে প্রথম দিকে হয়তো অনেক মানুষ কাজ হারাতে পারেন। কিন্তু যারা মৌলিক শিল্পী, কাজে সুদক্ষ– তাদের জায়গা এআই সহজেই নিতে পারবে না।

 

শুধু হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্ম নয়, যে কোনো ক্ষেত্রেই নিজের কোনো ভয়েস, ভিডিও বা কোনো তথ্য, ছবি অনলাইনে শেয়ার করার আগে এখন আগের তুলনায় বেশি সতর্ক থাকা উচিত। যেমন কখনও রাগ হয়, কখনও আনন্দে ভাসছি, আবার দুঃখ হচ্ছে, মানসিক সমস্যায় পড়ছি, কোথায় ঘুরতে যাচ্ছি, কোথায় খেতে যাচ্ছি– সবকিছু নিয়েই রিল বানিয়ে পোস্ট করা হচ্ছে।

কিছু মানুষ প্রতিনিয়তই যা কিছু করছে, তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থাপন করছে। দিনের প্রথম কাজই যেন কিছু না কিছু পোস্ট করা। অর্থাৎ পোস্ট করার মধ্যে কৌতূহলী আনন্দ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। তবে অভ্যাসটা মোটেও ঠিক নয়। যত পরিমাণে ভিডিও, ভয়েস, রিল ইন্টারনেটে ছড়াচ্ছে, ততই কিন্তু ডিজিটাল জালে জড়িয়ে পড়ছেন।

 

ফলে হ্যাকার বা স্ক্যামারদের জন্য নিজেরাই কাজটা সহজ করে দিয়েছি। যারা খুব কম ছবি, ভিডিও, ভয়েস অনলাইনে শেয়ার করেন, তারাও নিয়মিত শিকার হচ্ছেন স্ক্যামের।ভিডিও বা অডিও নয়, যে কোনো ছবি যতটা সম্ভব অনলাইনে শেয়ার না করা। তবেই নিরাপদ থাকতে পারবেন সোশ্যাল মিডিয়ার ধূম্রজালে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *