পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: টানা দ্বিতীয় রাতেও ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বেশ কয়েক সপ্তাহ বিরতির পর পুনরায় কিয়েভে হামলা শুরু করেছে রুশ সেনারা। রবিবার ভোরে এসব হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছে ইউক্রেনীয় রাজধানীর সামরিক প্রশাসন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পপকো টেলিগ্রামে বলেছেন, একাধিক ভাগে বিভক্ত করে শত্রুর ড্রোনগুলো ছোড়া হয়েছে। দফায় দফায় এসব ড্রোন বিভিন্ন দিক থেকে হামলা চালিয়েছে।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রাশিয়ার ছোড়া ২০টি শাহেদ কামিকাজে ড্রোনের মধ্যে ১৫টি ধ্বংস করেছে। কিয়েভ, পলতাবা ও চেরকাসি অঞ্চলে এসব হামলা হয়।
এর আগে পপকো বলেছিলেন, এসব হামলায় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। হামলার কারণে রাজধানীতে একাধিকবার সতর্ক সংকেত বাজানো হয়েছে।
তবে চেরকাসির গভর্নর ইহর তাবুরেটস বলেছেন, ড্রোনগুলোর ধ্বংসাবশেষ পড়ে পাঁচটি বাড়িতে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে কোনও মানুষ আহত হননি।
কিয়েভের গভর্নর রুসলাম ক্রাবচেঙ্কো বলেছেন, একটি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কেউ হতাহত হননি।
রয়টার্সের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্রভাবে ইউক্রেনীয় দাবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এই হামলার বিষয়ে রাশিয়া কোনও মন্তব্য করেনি।
গত বছর অক্টোবরে ইউক্রেনের জ্বালানি, সামরিক ও পরিবহণ অবকাঠামোতে হামলা শুরু করেছিল রাশিয়া। রুশ সেনারা কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হওয়ার ছয় মাস পর এমন হামলা শুরু হয়েছিল।
গত বছর শীতে ইউক্রেনে হাজারো ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় ইউক্রেনের লাখো মানুষ বিদ্যুৎ ও পানির সংকটে পড়েছিলেন। তবে গ্রীষ্মকালে এমন হামলা কমে এসেছিল।
৫২ দিন বিরতির পর শনিবার কিয়েভে বিমান হামলা পুনরায় শুরু করেছে রাশিয়া। শনিবারের হামলায় কিয়েভসহ বিভিন্ন স্থানে ইউক্রেনীয় অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছিলেন, শীতে ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামোতে বড় আকারে বোমাবর্ষণ করতে পারে রাশিয়া।