পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নে সহায়তা দিতে তিন প্রকল্পে বাংলাদেশের জন্য ১.২৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক।
কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত, উদ্যোক্তা তৈরি ও জলবায়ু সহনশীলতা তৈরিতে সহায়তা করতে ৫০ কোটি ডলার দেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। সবুজ ও জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়নে উত্তরণে ৫০ কোটি ডলার; ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের টেকসই উত্তরণে আরও ২৫ কোটি ডলারের ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জন্য চার বছরের একটি নতুন অংশীদারত্ব কাঠামো (পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়র্ক) তৈরি করেছে বিশ্বব্যাংক। এটি ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে পৌঁছানোর লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।
বর্তমানে বাংলাশে বিশ্বব্যাংকের মাল্টিল্যাটারাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সির দেওয়া ঋণের পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। এছাড়া আইএফসির প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প চলমান আছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, তাদের “কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক” তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনার (২০২১-২০৪১) সঙ্গে মিল রেখে, যা উচ্চ এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের বাধাগুলো চিহ্নিত করে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
তারা আরও বলছে, “একটি বৈচিত্র্যময় এবং প্রতিযোগিতামূলক বেসরকারি খাত গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও এ ফ্রেমওয়ার্ক সহায়ক হবে, যা আরও কর্মসংস্থান এবং ভালো কাজের সুযোগ তৈরি করবে, সবার জন্য সমান সুযোগের পথ খুলতে আর্থ-সামাজিক অন্তর্ভুক্তিকে এগিয়ে নেবে এবং জলবায়ু ও পরিবেশগত দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে।”
বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, “বিশ্বব্যাংক গ্রুপ এবং বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচ দশকের শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ওপর ভিত্তি করে এই কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ যেহেতু আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে চায়, সেজন্য দরকার শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং নীতি, যা একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারবে। এই পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নে সরকারের সংস্কার কর্মসূচিকে সমর্থন যোগাবে।”