পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বর্তমান প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের একটি বড় অংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নীল দুনিয়ায় বুঁদ হয়ে থাকেন। পড়াশোনা কিংবা জাগতিক দুনিয়ার সকল বিষয় বাদ দিয়ে তারা গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যায় করেন এতে। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদেরও অভিযোগের অন্ত নেই। তবে এই নীল দুনিয়া অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়েই সফল হচ্ছেন কেউ কেউ। তেমনই একজন তরুণ উদ্যোক্তা হচ্ছেন মাদারীপুর জেলার সদরে ছেলে ‘মাহিম হোসেন মুকিত’।
মাহিম হোসেন মুকিত মাদারীপুর জেলার সদরে ২০০১ সালের ২০ জুন জন্মগ্রহণ করেন।ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি নেশা থেকেই তারা গড়ে তুলেছেন মুকিত আইটি নামের একটি ডিজিটাল এজেন্সি। এজেন্সির পাশাপাশি সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস নিয়েও কাজ করছেন। এছাড়া ছোট বেলা থেকে তার গান প্রতি নেশা ছিল। কণ্ঠশিল্পী মাহিম হোসেন মুকিত ‘কে তোমাকে ভাসবে ভালো’, তুমি শুধু আমার’,—গানের মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে পা রাখেন। ২০১৭ সালে কয়েকটি ভিন্ন ধাঁচের গান উপহার দিয়ে আর্টিস্ট হিসেবে আলোচনায় আসেন। এরপর টানা তিন বছরের বিরতি।
ভবিষ্যৎ ইচ্ছা দেশের বেকার যুব-সমাজের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। এজেন্সিটি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তাদের লক্ষ্যবস্তু নির্দিষ্ট গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন বিষয় তারা সহজেই দেখভাল এবং পরামর্শ দিতে পারেন। সবকিছু মিলিয়ে (Mahim It) দেশের অন্যতম ডিজিটাল পরিষেবায় পরিণত হবে বলে মনে করছেন এই তরুণ উদ্যোক্তা।
এ ব্যাপারে উদ্যোক্তা মাহিম হোসেন মুকিত (Mahim Hossain Mukit) বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমাদের প্রযুক্তির প্রতি ব্যাপক আগ্রহ ছিল। নতুন কিছু শেখার নেশায় শিখেছি এবং এখনো শিখছি। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ার বেছে নেওয়া আমাদের জন্য এক দুর্দান্ত সিদ্ধান্ত ছিল।’
তারা বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি কিশোরের মতোই আমরাও ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনায় ছিলাম কিভাবে শুধু নিজেরা সফল না হয়ে পাশাপাশি অন্য সবার বেকারত্বের সমাধানও করা যায়। একপর্যায়ে কারও সহায়তা না নিয়েই ইন্টারনেটে ঘেঁটে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ব্যাপারে আগ্রহী হই। দীর্ঘদিন পর্যালোচনা এবং এই সেক্টরে কাজ করে আজ আলহামদুল্লিাহ আমাদের একটা প্রতিষ্ঠান হয়েছে। এই সেক্টরকে সবার সামনে তুলে ধরার চেস্টা করেছি আমরা। ভবিষ্যতে ইডিএম নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের উদ্যোক্তা হিসেবে সম্ভাবনাময় এই তরুণ মনে করেন, প্রযুক্তি খাতে প্রচুর সুযোগ রয়েছে। সামান্য মেধা খাটিয়ে সহজেই একটা সুন্দর ক্যারিয়ার তৈরি করা সম্ভব। বর্তমান সময়টাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তাই সামনের দিনগুলো প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান তাদের সোশ্যাল মিডিয়া দেখাশোনা করা বা দেখভালের জন্য লোক নিয়োগ দিবে এবং দিচ্ছেও সেক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ভালো ক্যারিয়ার রয়েছে সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই।
‘আমাদের মূল উদ্যেশ্য একটি সুস্থ সোস্যাল মাধ্যম গড়ে তোলা, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস এবং সঠিক বিজনেস প্ল্যানিংয়ে সহযোগিতা করা এবং যাবতীয় সোস্যাল সার্ভিসের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করতে এবং সচেতন করতে ভূমিকা রাখা’ যোগ করেন এই তরুণ।