ঢাবি ক্যাম্পাসে অবৈধ ভাসমান দোকান

ঢাবি ক্যাম্পাসে অবৈধ ভাসমান দোকান

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসিতে) ফের বাড়ছে অবৈধ ভাসমান দোকানের সংখ্যা। খাবারের এসব দোকানকে কেন্দ্র করে বাড়ছে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আনাগোনাও। গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে ক্যাম্পাস থেকে তিন শতাধিক ভাসমান অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। তবে বছর না ঘুরতেই আবারী পুরোনো রূপে ফিরছে ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শুধু ক্যাম্পাসে ভাসমান দোকান বৃদ্ধিই নয়, একই সঙ্গে বহিরাগত যান চলাচল সীমিত করার লক্ষ্যে স্থাপিত নিরাপত্তা ও নজরদারি বক্স সীমিত করতে পারেনি বহিরাগত যান চলাচল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি স্থানে সরেজমিনে শতাধিক ভাসমান দোকানের দেখা মেলে। রাতে টিএসসি হয়ে বড় বড় কাভার্ড ভ্যানের চলাচলও তুলনামূলক বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোড এলাকায় দ্রুতগতিতে বাইক চালায় বহিরাগতরা। এছাড়া টিএসসি, ভিসি চত্বর, লাইব্রেরি, কার্জন হল এলাকা ও শহিদ মিনার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা ফেরি করে বিক্রি করেন চা-সহ নানা খাবার। আর এসব দোকানের সামনেই ভিড় করতে দেখা যায় বহিরাগতদের। নিয়মিতই ব্যবসায়ীরা দোকান বসান ক্যাম্পাসের নানা জায়গায়। গত বছর প্রক্টরিয়াল টিমের উদ্যোগে এসব ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করলেও এ বছর প্রক্টরিয়াল টিমের সে রকম অভিযান দেখছেন না বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।

গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয়। তাদের মধ্যে এক জন বলেন, বেশ কিছুদিন প্রক্টরিয়াল টিমের তৎপরতায় ক্যাম্পাসে ভাসমান দোকান বন্ধ ছিল। একই সঙ্গে তখন বাইরে থেকে ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যাও কম ছিল। ক্যাম্পাসের পরিবেশ অনেকটাই সুন্দর ছিল। কিন্তু এখন আবার টিএসসিতে দোকানের সংখ্যা বাড়ছে। আবারও ক্যাম্পাসের সেই সুন্দর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

শুধু ভসামান দোকানই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের সামনে, লাইব্রেরি, টিএসসি, কার্জন হল ও সুফিয়া কামাল হলের সামনের রাস্তায় মাদকাসক্ত ও ভাসমান মানুষদের শুয়ে থাকতে দেখা যায়। এরা নিয়মিতই ক্যাম্পাসে বসেই মাদক সেবন করেন। তাদের উচ্ছেদেও প্রক্টরিয়াল টিমের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। তারা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর পরিবেশই নষ্ট করছেন না, একই সঙ্গে নারী শিক্ষার্থীদের অবাধ চলাফেরায় অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটছে।

রোকেয়া হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, কিছুদিন আগেই এক মাদকাসক্তকে রাস্তা থেকে যেতে বলায় তিনি তার দিকে তেড়ে আসেন মারার জন্য। আশপাশে মানুষ থাকায় রক্ষা। এছাড়া, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের গেটের পাশ থেকে শুরু করে কলা ভবনের গেট পর্যন্ত অনেক মাদকাসক্ত শুয়ে থাকেন। তাদের কারণে রাস্তায় চলাফেরা করতে নিরাপদ বোধ করেন না। প্রক্টরিয়াল টিমের গাড়ি ঘোরাফেরা করতে দেখলেও এই মাদকাসক্ত ও ভাসমান মানুষদের ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ করতে আবারও অভিযান শুরু করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বক্সের দায়িত্বে থাকা গার্ডরা কাজ করছেন নিয়মিত। তবু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বহিরাগত গাড়ি ঢুকে পড়ছে। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *