৯ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ বলেছে, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে আমেরিকার কোনো আদালতে বিচারের সম্মুখীন করা যাবে না। ২০১৮ সালে খুন হওয়া সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগির প্রেমিকা হাতিস চেঙ্গিজ ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ার ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট আদালতে একটি মামলা করেছিলেন।
তাতে তিনি যুবরাজ মোহাম্মদ ও অন্য কিছু সৌদি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে জামাল খাসোগিকে “অপহরণ করে বেঁধে মাদক প্রয়োগ ও অত্যাচার এবং হত্যা করার” অভিযোগ এনে মামলা করেন।
তবে এখন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ও বিচার বিভাগের আইনজীবীরা বলছেন, যুবরাজ মোহাম্মদ যেহেতু একই সঙ্গে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী–তাই একজন সরকার প্রধান হিসেবে তিনি আমেরিকায় করা কোনো মামলার বিচারের হাত থেকে রেহাই পাবেন।
জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ড সারা দুনিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করে। এ ঘটনা যুবরাজ মোহাম্মদ ও তার দেশের ভাবমূর্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। এতে সৌদি-মার্কিন সম্পর্কেও বড় অবনতি হয়। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হবার পর মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেন।
তবে বিবিসির বিশ্লেষক ফ্র্যাংক গার্ডনার বলছেন, এগুলোর পেছনে ওয়াশিংটন যে সৌদি নেতৃত্বের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো করতে চায় সেই ইচ্ছারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে ।
এ বছর জুলাই মাসেই বাইডেন সৌদি আরব সফরে যান এবং তার আগে তিনি দুই দেশের সম্পর্ক ‘পুনর্নবায়নের’ কথা বলেন। ফ্র্যাংক গার্ডনার বলছেন, এটা কোন গোপন ব্যাপার নয় যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং যুবরাজ মোহাম্মদ–যাকে এমবিএস বলেও ডাকা হয়–পরস্পরকে পছন্দ করেন না।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানির দাম কমিয়ে আনতে তেলের উৎপাদন বাড়াতে অস্বীকার করে সৌদি আরব। যাকে ওয়াশিংটনকে পাত্তা না দেবার দৃষ্টান্ত হিসেবেই দেখা হয়েছিল। তার ওপর ইদানিং রাশিয়া আর চীনের সঙ্গে সৌদিদের সম্পর্ক ক্রমাগত উষ্ণতর হতে দেখা যাচ্ছে।
ফ্র্যাংক গার্ডনার আরও বলছেন, সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মিত্র এবং তাদের অস্ত্রের ক্রেতা। তাই ওয়াশিংটন কখনো এমবিএসের গ্রেফতারের পথ সুগম করবে এমনটা হবার সম্ভাবনা অতি ক্ষীণই ছিল–তবুও তিনি যদি এই পন্থায় বিচার থেকে অব্যাহতি পেয়ে যান তাহলে তা সৌদি রাজদরবারে কিছুটা হলেও স্বস্তি তৈরি করবে। বিবিসি।