শাইখুল ইসলাম সাইয়্যেদ হুসাইন আহমাদ মাদানি রহ. এর সুযোগ্য দৌহিত্র, ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের মুফতি ও মুহাদ্দিস আওলাদে রাসূল, সায়্যিদ মুফতি মুহাম্মাদ সালমান মানসুরপুরী এখন বাংলাদেশে। দেশের নানা জায়াগায় সফর করে তিনি ইসলাহী ও আধ্যাত্মিক বিষয়ে বয়ান ও নসিহত করছেন। গত রবিবার (৮ অক্টোবর) তিনি সিলেটের জামিয়াতুশ শায়খ আস’আদ মাদানীতে আয়োজিত ওলামা-তলাবার এক তারবিয়াতি মজলিসে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন। বয়ানের অনুদিত চুম্বকাংশ পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—
মুফতি সালমান মানসুরপুরী বলেন, আমাদের এই জীবন খুব স্বল্প সময়ের জীবন। এইজন্য আমাদের উচিৎ বেশি বেশি পুণ্যের কাজ করে সময়গুলোকে অর্থবহ করে তোলা। আমলের পাল্লাকে ভারী করার জন্য উচিৎ বেশী বেশী নেক কাজ করা।
হযরত মু’আজ বিন জাবাল রা. মাত্র ১৮ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন এরপর মাত্র ১৮ বছর হায়াত লাভ করেন। তাঁর এই ৩৬ বছরের সময়কে তারুণ্যের বয়সই বলা চলে। এই বয়সের ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবাদের সামনে মু’আজ বিন জাবালের ব্যাপারে বলেন, ‘আমার সাহাবাদের মধ্যে যারা হালাল-হারামের ব্যাপারে সবচেয়ে সতর্ক এবং সবচাইতে বেশী জ্ঞান রাখে তাদের মধ্যে মু’আজও একজন। একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মু’আজ বিন জাবাল রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু এর হাত ধরে উপস্থিত সকল সাহাবাদের সামনে বলে উঠলেন— আল্লাহর কসম মু’আজ! আমি তোমাকে তোমার চারিত্রিক গুণের কারণে ভালোবাসি।
কুল-মাখলুক যার ভালোবাসায় মত্ত, সেই মানুষটি বলছেন, আমি মু’আজকে ভালোবাসি। এরচে উত্তম ও সৌভাগ্যের জীবন আর কী হতে পারে?
হযরত মু’য়াজ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গিয়ে বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনি আমাকে উপদেশ দিন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে তাঁকে একে একে তিনটি বিষয়ে নসিহত করেন।
এক. হে মু’আয! সর্বদা, সর্বক্ষেত্রে আল্লাহ তা’য়ালাকে ভয় করো চলবে।
দুই. গুনাহ থেকে বেঁচে থাকো। গুনাহ হয়ে গেলে সাথেসাথে একটি নেকির কাজ করো। যাতে করে গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়।
তিন. মানুষের সাথে সদ্ব্যবহার করো, উত্তম আখলাকের পরিচয় দাও। এমনকি নিজের পরিবার-পরিজনের সাথেও তোমার উত্তম চরিত্রের পরিচয় দাও। নামাজ রোযার মতো এগুলোও দ্বীনের অংশ মনে করো।