তাক্বওয়া ও মুত্ত্বাকীর পরিচয়

তাক্বওয়া ও মুত্ত্বাকীর পরিচয়

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: তাড়াইল ইজতিমার শেষ দিন আখেরী মুনাজাতের পূর্বে সূরা বাকারার প্রথম কয়েকটি আয়াতের তাফসির করেন আল খায়ের ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব ইমাম কাসেম রশিদ আহমাদ।

তাঁর বয়ানের চুম্বকাংশ এখানে উল্লেখ করা হলো–

কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তাআলা কিছু সূরার শুরুতে কতক অসংযুক্ত অক্ষরমালা উল্লেখ করেছেন। যেমন, ‘আলিফ লাম মীম’ ‘হামীম’ ‘ত্বসিম মীম’ ইত্যাদি। সূরা বাকারার শুরুতে আল্লাহ বলেছেন– ‘আলিফ লাম মীম।’ এগুলোকে ‘আল হুরুফুল মুক্বাত্ত্বআত’ বলা হয়। এর সুনির্দিষ্ট অর্থ কেউ না জনাওলেও মুফাসসীরগণ এর একটি ‘নূকতা’ বা প্রতীকী তাৎপর্য এমনও বলেন যে– আলিফ দ্বারা উদ্দেশ্য আল্লাহ, লাম দ্বারা বুঝানো হয়েছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং মীমে মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ।

তাক্বওয়া ও মুত্ত্বাক্বীন

আল্লাহ তাআলা এর পরের আয়াতেই বলেন, ‘হুদাল লিল মুত্তাকিন’– মুত্তাক্বীনদের জন্য এটি হেদায়েত’। এখন আমাদের বুঝতে হবে তাক্বওয়া কী?

তাক্বওয়া হলো, ভালোবাসা মিশ্রিত ভয়। আমরা যেমন মাকে ভালোবাসি আবার ভয় পাই। ঠিক তেমন আল্লাহকে ভয় করতে হবে এবং তাঁর প্রতি থাকতে হবে অগাধ ভালোবাসা।

মুত্ত্বাক্বীন কারা?

এই ব্যাপারে,পরবর্তী আয়াতগুলোতে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। মুত্ত্বাক্বীর পাঁচটি আলামত বলা হয়েছে–

এক. যারা অদৃশ্যের উপর বিশ্বাস রাখে

যারা. যারা নামাযকে যথাযথ ভাবে আদায় করে

তিন. যারা আমি যেই রিযিক দিয়েছিবসেখান থেকে খরচ করে

চার. আমি যা আপনার এবং পূর্ববর্তী নবীদের উপর অবতীর্ণ করেছি তার প্রতি ঈমান আনা। এবং

পাঁচ. পরকালে বিশ্বাস রাখা

মুসলমানরা নির্যাতিত কেন?

আজকে আমাদের মুসলমানদের এই অবস্থা কেন? আমি গাযার সীমান্তে ১০ দিন ছিলাম আর চিন্তা করলাম এই ধ্বংসযজ্ঞের শেষ কোথায়? আমার মনে হয়! বদরের মতো নিজেদেরকে ইমানের অনুলে পুড়িয়ে আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছেন৷ যাতে আমরা ইমানের পূর্ণাঙ্গতায় পৌঁছাতে পারি৷

হেদায়েত পেতে হলে বাইয়াত হই

আমরা যদি হেদায়েত পেতে চাই তাহলে শায়েখের হাতে বাইয়াত হই। মানুষকে আল্লাহর তাঁর সৃষ্টির ধাপের পর্যায়ক্রমিক অনুসারে গঠন করেছেন। ঠিক তেমনিভাবে আমরাও কোনো শাতেখের হাতে বাইয়াত হয়ে স্তরে স্তরে নিজেদের ইমানকে, আমলকে উন্নত করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *