তিন কবিতা | মুহসিন আবীর
যুবক
বুড়োদের ভিড়ে আমি এক যুবক, একদিন বুড়ো হবো।
পঁচে যাওয়া নখ, পোকে খাওয়া দাঁত,
পেকে যাওয়া চুল, দাড়ি,
হয়েছে সবি ভারী।
বুড়োদের ভিড়ে আমি এক যুবক
একদিন বুড়ো হবো।
কুঁচকানো চামড়ার ভাজ
মনে দীর্ঘশ্বাস,
দেখে লোকে টিটকিরি মারে।
ভয়ে মন দুরুদুরু করে,
বুড়োদের ভিড়ে আমি এক যুবক, একদিন বুড়ো হবো।
মরণ জ্বর
ঘরে খাবার নাই, খাওয়ার এত মুখ
আমার এ জীবনে নাই কোন সুখ।
পথে বের হলে পাল ধরে হাটি
মানুষের চোখ করে পিটিপিটি।
অভাগার এই ঘরে নাই কোন হাসি
কান্নার শব্দে বাজে নাকের বাসি।
তের বাচ্চার মা বিছানায় থাকে পরে
করুণ চোখ বুজি এইবার উগলে উঠে।
ঘরে ভাত নাই, ঔষধ একিভাবে কিনি
আমি বেকার মানুষ রাস্তায় ঘুরিফিরি।
হ্যাংলা সাতটি মেয়ে, হয়েছে কুচকুচে কালো
ওদের নিয়ে ভাবার চেয়ে জীবন যাওয়াই ভালো।
ছেলেগুলো কেউ বুঝেনা বাবার দুঃখ
বুঝে গেছে ওরা গালি খাওয়ার সুখ
সমাজের চোখে আমি নানারূপ।
ভবঘুরে, গরীব,লম্পট, লজ্জাহীন মুখ।
বাবা খাবার নাই, পেটে ভীষণ দুঃখ।
সবশেষে, দিতে হবে মরণ ডুব।
অবলা নারী
একটি রাতের অপেক্ষায়
প্রেম দিয়েছো শতরাত।
মেসেঞ্জার, ইমু, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার
ভরে দিয়েছো প্রেমালাপ।
আমি অবলা নারী।
দিয়েছি তোমার প্রেমে ডুব
স্বামীর ঘর ছেড়ে দেখি
সবকিছু ছলনার কূপ।
নিজেকে সঁপেছিলাম আমি
তোমার মিষ্টি কথার ফাঁদে পরে
রাতভর লুটেপুটে খেয়ে
সকালে দিয়েছো ছেড়ে।