পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের তুলকারেমের নুর শামস শরণার্থীশিবিরে ৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পরিচালিত এই ড্রোন হামলার পর আহতদের কাছে পৌঁছাতে অ্যাম্বুলেন্সে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিরুদ্ধে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, স্থানীয়দের মন্তব্য এবং সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে আল জাজিরার এই অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলি সামরিক যানবাহনগুলো ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টকে আহতদের কাছাকাছি যেতে বাধা দিচ্ছে।
জীবন-মৃত্যুর মতো গুরুতর ব্যাপারে কালক্ষেপণের পর আইডিএফ অবশেষে আহতদের কাছে যেতে অ্যাম্বুলেন্সকে অনুমতি দেয়। এরপর বেশ কয়েকজন আহতকে নিয়ে যাওয়া নিকটস্থ হাসপাতালে। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।
তুলকারেমে বেসামরিক অনেক ব্যক্তিদের বাড়িতে ঢুকেও অভিযান চালিয়েছে আইডিএফ। এ সময় সেনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য কয়েকটি বাড়ির ছাদে স্নাইপার রাইফেল হাতে সৈন্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছিল। এসবের মধ্যেও প্রতিরোধ গড়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বন্দুকযুদ্ধ চালিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা।
ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান হেরজি হালেভি জানিয়েছেন, হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘাত এখনই শেষ হচ্ছে না। এই সংঘাত চলবে আরও কয়েক মাস। অন্যদিকে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলকে ২৩০টি কার্গো বিমান এবং ২০টি জাহাজ বোঝাই অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এসব অস্ত্র দিয়েছে দেশটি।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে ৮১ দিন ধরে। এই সময়ের মধ্যে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২১ হাজার। এর মধ্যে বিগত ২৪ ঘণ্টায়ই নিহত হয়েছে ২৪১ জন। এই সময়ে আহত হয়েছে আরও অন্তত ৩৮২ জন। সব মিলিয়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৯১৫ জনে। একই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৫৫ হাজার ফিলিস্তিনি।