ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় যেসব ভিটামিনের অভাবে

ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় যেসব ভিটামিনের অভাবে

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: এমন খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ যা আপনার শরীরকে সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং ভিটামিন পৌঁছে দেবে। ভিটামিনের ঘাটতি হলে তা আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলবে। যার ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। ভিটামিনের ঘাটতি ত্বকে শুষ্কতা, নিস্তেজ ভাব, জ্বালা এবং এমনকি আরও গুরুতর সমস্যার কারণ হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ভিটামিনের অভাবে আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে-

ভিটামিন ই
নিস্তেজ এবং শুষ্ক ত্বকের অন্যতম কারণ হলো ভিটামিন ই এর অভাব। ভিটামিন ই হলো একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি র‌্যাডিক্যাল এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি কোষের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে এবং সুস্থ ত্বক বজায় রাখতে সহায়তা করে। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ই এর অভাব হলে ত্বক শুষ্ক ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এমনকী ত্বকের জ্বালা বা প্রদাহ হতে পারে। এই ঘাটতির ফলে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়, যার ফলে ত্বক বিবর্ণ হয়ে যায়।

ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি ত্বকের কোষের বৃদ্ধি এবং ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ক্ষতিকারক রোগ-জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা হিসেবে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন ডি এর অভাবে একজিমা এবং সোরিয়াসিস হতে পারে। যা ত্বকের শুষ্কতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

ভিটামিন সি
ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী, ত্বক-প্রতিরক্ষামূলক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের সংস্পর্শে আসা দূষিত পদার্থের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। এই ভিটামিন কোলাজেন উৎপাদনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রয়োজনীয়।

ভিটামিন বি
ভিটামিন বি এর অভাবে ব্রণ, ফুসকুড়ি, শুষ্ক ত্বক, ফাটা ঠোঁট এবং বলিরেখা হতে পারে। এটি ত্বককে রোদের প্রতি আরও সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। ফলে ত্বক লালচে হয়ে যেতে পারে এবং ত্বকে জ্বালা হতে পারে। ভিটামিন বি-তে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা একজিমা, ব্রণ বা ত্বকের অন্যান্য ধরনের জ্বালা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ভিটামিন এ
প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি ত্বকের কোষ তৈরি ও মেরামতের জন্য ভিটামিন এ অপরিহার্য। পর্যাপ্ত ভিটামিন এ না পাওয়া গেলে একজিমা এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশ কিছু ক্লিনিকাল গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন এ একজিমা দূরে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *