ত্যাগের সাহাবা | ফরীদ উদ্দীন মাসঊ্দ

ত্যাগের সাহাবা | ফরীদ উদ্দীন মাসঊ্দ

আমরা কিভাবে আমাদেরকে সংশোধন করতে পারি, বিশুদ্ধ করতে পারি এ ধরনের এক মহান উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা এখানে সবাই হাজির হয়েছি। এ তৌফিক কে দিয়েছেন? আল্লাহ্। আল্লাহর রাস্তায় আল্লাহর জন্য, আল্লাহর সন্তুষ্টির খাতিরে এক মুহূর্ত আগে হাজির থাকা এটা আখেরাতে হাজারো বছরের চেয়েও আগে থাকার নামান্তর হয়। আল্লাহ তাআলার মেহেরবানি নির্ধারিত সময়ের আগেই আমাদের ইজতেমা শুরু হয়েছে। আল্লাহ তাআলার প্রতি আপনাদের প্রবল আগ্রহের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে। আর আল্লাহ্ তাআলা বান্দার এই আগ্রহটাই দেখতে চান।

হাদীসে পাকে আছে, কেউ যদি আল্লাহর দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয় আল্লাহ তার প্রতি এক হাত অগ্রসর হন। কেউ যদি আল্লাহর দিকে এক হাত অগ্রসর হয়, তাহলে আল্লাহ্ তাআলা এক বাহু পরিমাণ, দুই বাহু পরিমাণ অগ্রসর হন। আর কেউ যদি আল্লাহর দিকে হেঁটে আসে ইয়া সুবহানাল্লাহ! আল্লাহর রহমত তার দিকে দৌড়ে আসে। কত বড় সৌভাগ্য। রহমত লাভের এ জাতীয় মাহফিলে যারা উপস্থিত হন, এটা মহান আল্লাহর প্রতি তাদের ভালোবাসারই বড় পরিচয়। আল্লাহ তাআলা তাদের নিয়েই ফেরেশতাদের সামনে গর্ব করে থাকেন।

রাসূলের প্রতি সাহাবায়ে কেরামের বিশ্বাস অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস ছিলো। আমরা জানি, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যামানায় এক জিহাদ হলো জঙ্গে মোতা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনজন সাহাবী সম্পর্কে বললেন যে তমুকে শহীদ হলে তমুক আমির হবে। তমুকে শহীদ হলে তমুক আমির হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এরপর তোমরা নিজেরা এর ব্যবস্থা করবে। এর মধ্যে একজন ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রা.। রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন এ কথা বলেছেন যে আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা শহীদ হলে তমুক আমির হবে, তখনই তার একীন ও বিশ্বাস হয়ে যায় উনি শহীদ হয়ে যাবেন।
এরপর তিনি বাড়িতে গেলেন। রওয়ানা যখন হবেন তখন বিবি সাহেবা বললেন, চলুন একটু আল্লাহর কাছে দুআ করি। আপনি আল্লাহর রাস্তায় যাচ্ছেন। তিনি বললেন, চলো। এরপর বিবি দুআ করলেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার স্বামীকে তোমার রাস্তায় নাও, তিনি যেন খুব বাহাদুরীর সাথে জিহাদ করতে পারেন। পরে তুমি তাকে বিজয়ী করে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে এসো। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তরবারি দিয়ে স্ত্রীর হাতে আঘাত করে বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা যদি শহীদ হয় তাহলে তোমরা আর একজন আমির বানিয়ে নিবে। এর মানে হলো আমি শহীদ হয়ে যাবো। আর তুমি আমার বাঁচার দুআ করছ?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *