পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দ্রুতগতির বুলেট ট্রেন চালু করেছে ইন্দোনেশিয়া। বেশ কয়েকবার উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তনের পর অবশেষে এটি চলা শুরু করেছে।
চীনের সহায়তায় কয়েক বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পকে দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ‘ইন্দোনেশিয়ার পরিবহণ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের প্রতীক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বুলেট ট্রেন ‘হুশ’ (Whoosh) এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার (২২০ মাইল)। এই ট্রেনে রাজধানী জাকার্তা থেকে বানদুং শহর যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ মিনিট, দূরত্ব ১৪০ কিলোমিটার।
যেখানে আগে যেতে সময় লাগতো প্রায় ৩ ঘণ্টা।
রাজধানীর কেন্দ্রীয় রেলস্টেশনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট উইদোদো বলেন, ‘জাকার্তা-বানদুং বুলেট ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি মাইলফলক।’
‘এটি গণপরিবহনের আধুনিকায়নের প্রতীক, যার মাধ্যমে অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ স্থাপিত হবে’, যোগ করেন তিনি।
উইদোদো জানান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম বুলেট ট্রেন একবারে ৬০০ যাত্রী পরিবহণ করতে পারবে।
এটি বেইজিংয়ের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের অংশ। প্রায় এক দশকেরও বেশি পুরনো এই উদ্যোগে একাধিক দেশে অবকাঠামোগত প্রকল্পে পৃষ্ঠপোষকতা করছে চীন।
ইন্দোনেশিয়ার চার প্রতিষ্ঠান ও চায়না রেলওয়ে ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত পিটি কেসিআইসি সংস্থা এই রেললাইন নির্মাণ করেছে।
প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের বাজেট ধরা হয়েছিল ৫০০ কোটি ডলার ও এটি ২০১৯ এর মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এর কাজ শেষ হতে দেরি হয় এবং খরচ বেড়ে যায়।
আজ পূর্ণ সেবা চালুর আগে বেশ কয়েকবার বুলেট ট্রেনের ট্রায়াল রান করা হয়।
গত সপ্তাহে যোগাযোগমন্ত্রী বুদি কারিয়া সুমাদি নিশ্চিত করেন, সরকার এই রেল নেটওয়ার্কে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সুরাবায়াকেও যোগ করবে।
গত মাসে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং ইন্দোনেশিয়ার জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী লুহুত পান্দজাইতানের সঙ্গে বুলেট ট্রেনে চড়েন। সে সময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নেতাদের সঙ্গে সম্মেলনে অংশ নিতে জাকার্তা সফরে এসেছিলেন লি।
বৃহস্পতিবার পান্দজাইতান সাংবাদিকদের বলেন, উইদোদো খুব শিগগির চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে এই ট্রেনে যাত্রার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।