পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে।
পুরানা পল্টনের হাউজ বিল্ডিং এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে অনুমতি না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ।
আজ বুধবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলাম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা নেছার উদ্দিন, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।
সভায় আগামীকাল ২৭ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার, বেলা ৩টায় অনুষ্ঠিতব্য প্রতিবাদ সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলনের অফিস চত্বরে (নোয়াখালী টাওয়ারের সামনে) আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে পুলিশ প্রশাসন অনুমতি না দেয়ায় অফিস চত্বরে সমাবেশ করার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উল্লেখ্য যে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বক্তব্য প্রদানকালে পুলিশের বাধা ও অসৌজ্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ, ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (চ.জ) পদ্ধতির প্রবর্তন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় বলা হয়, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন সাংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। শান্তিপূর্ণ এবং একান্ত ঘরোয়া কর্মসূচি পালনেও সরকার বাধা দিচ্ছে। দেশ ক্রমেই সংঘাতের দিকে এগুচ্ছে। বিদ্যমান সঙ্কট থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন। এজন্য সরকার যত তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করবে দেশ, জাতি ও ইসলামেরর ততই মঙ্গল হবে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করে বিএনপি। সেই সমাবেশ থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিএনপির মহাসমাবেশ ঘোষণার পর বায়তুল মোকাররম এলাকায় ‘শান্তি সমাবেশে’র ডাক দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।