দিল পরিস্কার করার আহ্বান আল্লামা মাসঊদের

দিল পরিস্কার করার আহ্বান আল্লামা মাসঊদের

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : সব ধরণের গুনাহের নাপাকি ও ময়লা থেকে দিল পরিস্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান, শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম, শাইখুল ইসলাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।

শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) ইকরা বাংলাদেশ ঝিল মসজিদ কমপ্লেক্সে জুমার বয়ানে এ আহ্বান জানান তিনি।

বেশি গুনাহ করলে অন্তর কালো হয়ে যায় উল্লেখ করে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান বলেন, মানুষ যখন দুনিয়াতে আসে, তখন তার মন একেবারে পরিস্কার থাকে। সাদা ধবধবে অবস্থায় থাকে। কিন্তু যখন মানুষ বড় হয়ে বিভিন্ন গুনাহের কাজে লিপ্ত হয়, তখন তার মন আর সাদা থাকে না। তার মন গুনাহের ময়লায় কলুষিত হয়ে যায়। একেবারে কালো হয়ে যায়। আর মন কালো হয়ে গেলে, অন্তর ময়লা হয়ে গেলে সে মনে আর আল্লাহর নাম বসে না। সে ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত মনে শয়তান বাসা বাঁধে। শয়তান তার পরম বন্ধু হয়ে যায়।

সর্বদা পাক পবিত্র থাকার আহ্বান জানিয়ে শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম বলেন, আল্লাহ পাক নিজে পবিত্র, তিনি পবিত্রতাকে পছন্দ করেন। অপবিত্রতাকে আল্লাহ তাআলা অপছন্দ করেন। আর ইসলামও আমাদেরকে পবিত্র থাকতে উৎসাহ দেয়। কোনো ব্যাক্তি অজু অবস্থায় মারা গেলে সে জান্নাতি হয়ে যায়। কিন্তু আজকাল একদল তথাকথিত ‘আহলে হাদিস’ পেশাব করে পানি নেয় না। অথচ পেশাব বড় ধরণের নাপাকি। এক হাদিসে আছে, অধিকাংশ কবরের আজাব এই পেশাবের কারণেই হয়ে থাকে। যদি পেশাব করে পানি ব্যবহার না করেন, তাহলে যত নামাজই পড়ুন না কেন, কোনো কাজে আসবে না। সওয়াব তো হবেই না, উল্টো গুনাহ হবে।

গুনাহগারদের শরীর থেকে দর্গন্ধ ছড়ায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দিল নাপাক হলে আস্তে আস্তে শরীরের প্রতিটি অঙ্গে সেই নাপাকি ছড়িয়ে যায়। পরে গুনাহগারের শরীর থেকে এক ধরণের পঁচা দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। সেই দুর্গন্ধ সাধারণ মানুষ টের না পেলেও ফেরেস্তারা ও আল্লাহর ওলীরা খুব ভালোভাবে টের পান। সেই দুর্গন্ধে ফেরেস্তাদের কষ্ট হয়। ফলে ফেরেস্তারা আল্লাহর কাছে ওই গুনাহরের জন্য বদ দোয়া করতে থাকেন।

তিনি বলেন, যদি দিল পাক-সাফ হয়, তাহলে সে দিল সাদা ধবধবে হয়ে যায়। বিন্দুমাত্র ময়লা থাকে না। দিল সাদা হলে পেশাব-পায়খানা থেকেও সুঘ্রাণ ছড়ায়। জান্নাতিদের পেশাব-পায়খানা থেকে এক ধরণের সুবাস ছড়াবে। নবীরা দুনিয়াতে থাকতেই জান্নাতি ছিলেন। তাই তাদের পেশাব-পায়খানা থেকে এক ধরণের মোহনীয় ঘ্রাণ ছড়াতো। আম্মাজান আয়েশা রা. বলেন, রাসূল সা. এর পেশাব-পায়খানাতে কোনো দুর্গন্ধ ছিল না। এক ধরনের ঘ্রাণ বের হতো তার পেশাব-পায়খানা থেকে। মাটি তার পেশাব-পায়খানা গিলে ফেলতো।

অবশেষে আল্লাহর নেক বান্দা হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আল্লামা মাসঊদ বলেন, আল্লাহর নেক বান্দাদের শরীর থেকে ধরণের সুগন্ধ ছড়াতে থাকে। ফেরেস্তারা সেই সুগন্ধ টের পায়। তখন ফেরেস্তারা নেককারদের জন্য দোয়া করতে থাকে। তাই আসুন, আমরা নিজেদের সুগন্ধিওয়ালা বানাই। আল্লাহর নেক বান্দাদের সাথে নিজেদের নাম লেখাই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *