পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: দুবাই থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি মেট্রিক টন ২৯৪ দশমিক ৯৫ ডলার (শুল্ক ও ভ্যাট ছাড়া) দরে এ গম আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬২ কোটি ৯৫ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫০ টাকা।
বুধবার (৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। দরপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মেসার্স গ্রেইন-ফ্লাওয়ার ডিএমসিসিকে গম সরবরাহ করবে।
বৈঠক শেষে এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মন্ত্রিসভা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাঈদ মাহবুব খান। তিনি জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পর অধিদফতরকে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-৪ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুবাইয়ের এমএস গ্রাইন ফ্লাওয়ার ডিএমসিসি থেকে ১৬২ কোটি ৯৫ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫০ টাকায় এই গম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সরকারি পর্যায়ে গমের মজুতের পরিমাণ হচ্ছে ১ লাখ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন। এর বাইরে চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে গমের চাহিদা সরকারি পর্যায়ে ৯ লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এখন পর্যন্ত কোনও গম সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। তাই আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর বিপরীতে রাশিয়া থেকে জি-টু-জি চুক্তির আওতায় ৩ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করা হবে।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এক লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় প্যাকেজ-৪-এর আওতায় দুবাই থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, বেসরকারি খাতে ইতোমধ্যে ১২ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হয়েছে।