দেখে এলাম ঐতিহাসিক সোনা মসজিদ

দেখে এলাম ঐতিহাসিক সোনা মসজিদ

ভ্রমণ । আশরাফ উদ্দীন রায়হান

দেখে এলাম ঐতিহাসিক সোনা মসজিদ

মহানন্দা নদীর তীরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা ১৪-১৫ জনের একটি জামাত নিয়ে গেলাম সেখানে। পরিসংখ্যান বিভাগের নেওয়াজ শরীফ ভাই জামাতের জিম্মাদার। ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের জোড়কে কেন্দ্র করে দাওয়াতী মেহনতে অংশগ্রহণই ছিল উদ্দেশ্য। মাগরিবের নামাজ আদায়ের পর ক্যাম্পাস থেকে রওনা দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মার্কাজ মসজিদে পৌঁছাতে রাত এগারোটা বেজে গেল। সেখানে আমরা সালাতুল এশা আদায়ের পর কিছু খেয়েদেয়ে রাতটা কাটিয়ে দিলাম।

পরদিন ফজরের পর অটোতে চেপে আমরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ ইনস্টিটিউট মসজিদে হাজির হই। দেখি, সেখানে আঠারোজন সাথীর আরেকটা জামাত কাজ করছে। মার্কাজের ফায়সালামতে আমরা দু জামাত মিলেই আমল করা শুরু করলাম। দুই জামাতের নতুন মাশওয়ারায় আগের জামাতের আমির সাহেবই পুনরায় আমির মনোনীত হলেন। দুই জামাত এক জামাত হয়ে গেলো।

আমরা দু দিনের জন্য গিয়েছিলাম। প্রথম দিন খুব সুন্দর মেহনত হলো। ইনস্টিটিউট এলাকার বহুতল দালানের মেসগুলোর প্রায় প্রত্যেকটা ফ্লোরেই গাশত করে জোড়ে শরীক হওয়ার জন্য ছাত্রদেরকে দাওয়াত দিলাম। পরের দিন আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা গিয়েছিলাম, তাদের সবার ইচ্ছানুযায়ী সোনামসজিদ পরিদর্শনের জন্য আমির সাহেবের অনুমতি পাওয়া গেলো। খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, সেখান থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর সড়ক হয়ে ছোট সোনামসজিদ ৩৮ কিলোমিটারের পথ। রিজার্ভড সিএনজি ভাড়া করে সকাল সকাল আমরা রওনা দিলাম ইতিহাসের সাক্ষী মধ্যযুগীয় মুসলিম স্থাপনার অন্যতম নিদর্শন সোনামসজিদের উদ্দেশে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাংলাদেশের আমের রাজধানী, এ কথাটি আগ থেকে জানা ছিল। সিএনজি দিয়ে যাবার সময় পথের দু ধারে যে শত শত গাছের বিশাল বিশাল আমবাগান দেখেছি, তাতে মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন না হয়ে পারিনি। তখন চাঁপাইনবাবগঞ্জকে বাংলাদেশের আমের রাজধানী নামকরণের সার্থকতা বুঝে আসলো। উড়ন্ত দৃষ্টিতে আমবাগানের গাছগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই পুরোনো মনে হলো। শেকড়ের দিকে সযত্ন পরিচর্যায় পানি সরবরাহের ব্যবস্থাপনা দেখে যারপরনাই ভালো লাগছিল।

ভ্যাঁপসা গরম আর গাড়ির বাতাসকে সঙ্গী করে সোনামসজিদের দিকে আমরা ধেয়ে চললাম। পথে পথে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকগুলো গন্তব্যের দিকে ছুটে যাচ্ছে দেখলাম। মজার ব্যাপার হলো, সোনামসজিদকে যতই নিকটতর ভাবছিলাম তা যেন ততই দূরবর্তী হতে লাগলো। রীতিমতো মানসিকভাবে অস্থির একটা অবস্থা বিরাজ করছিল অনেকের মনে। কিন্তু শেষে হঠাৎ যখন নাটকীয় মুহূর্তে সোনামসজিদের দৃষ্টিনন্দন গম্বুজ দৃষ্টিগোছর হলো তখন আনন্দের আতিশয্যে সারা দেহে এক শিহরণ আর পুলক সৃষ্টি হলো।

আমাদের গাড়ি ঠিক সোনামসজিদে থামলো না। আরও সামনে যেতে লাগলো। স্থলবন্দর পার হয়ে বর্ডারের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। আমরা সবাই গাড়ি থেকে বের হয়ে আসলাম। দেখি, আট-দশজন বিজিবি টহল দিচ্ছে। আমরা তাঁদের সাথে কথা বলে আরেকটু সামনে যেতে চাইলাম। একজন বিজিবি আমাদের পথ রুখে দাঁড়ালেন। মুখে সলাজ হাসি চেপে থেমে যেতে বললেন। জানতে চাইলেন, কোত্থেকে এসেছি আমরা।

ভদ্রলোকের সঙ্গে আমরা পরিচিত হলাম। টাঙ্গাইলে তাঁর বাড়ি। সীমানা অতিক্রমের বিষয়টি বুঝিয়ে বললেন। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ওপাড়ে ভারতের লোকজন আর গাড়ি-ঘোড়া দেখে দেখে আমরা স্থলবন্দরের ভেতরে যাই। অবশ্য সংরক্ষিত জোন হওয়াতে অনুমতি নিতে হলো।

বাহির থেকে স্থলবন্দরের ভেতরে হাজার হাজার শ্রমিকের হাঁকডাক আর চিৎকার-চেচামেচিতে আমরা অনেকটা ঔৎসুক্য নিয়েই ঢুকেছিলাম সেখানে। গিয়ে দেখি, শ্রমিকরা বিরাট ময়দানের মতো গুদামঘরে কী নিয়ে যেন শোরগোল করছে। অদূরে ভারতের উঁচু উঁচু গাছগুলো আমাদের নজরে পড়ছে। ভারতীয় বাসগুলো দেখে অদ্ভুত ঠেকলো আমাদের কাছে। আমাদের গাড়ির ড্রাইভার খুব সজ্জন লোক ছিলেন। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি নিলেও উষ্মা দেখাননি। বুঝেনই তো ছাত্র এরা।

এবার সোনামসজিদের দিকে যাত্রা শুরু। চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রাচীন ঐতিহ্যের প্রধানতম নিদর্শন হচ্ছে ছোট সোনামসজিদ। মধ্যযুগে বাংলার স্বাধীন সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের রাজত্বকালে (১৪৯৩-১৫১৯) নির্মিত হয় সোনামসজিদ। নির্মাতা হিসেবে ওয়ালী মুহাম্মদের নাম পাওয়া যায়। প্রতিবছর দেশ-বিদেশের হাজারো দর্শনার্থী মসজিদটি দেখতে আসেন।

মূল সড়ক থেকে নেমে ডানে অপ্রশস্ত রাস্তা ধরে ৫০-৬০ ফুট এগোলেই উত্তর-পূর্ব দিকে একটি বড় পুকুর। বাঁ দিকে বাঁক নিয়ে সামান্য এগোলেই ছোট সোনামসজিদের তোরণ।

মধ্যযুগের সুলতানি আমলের গৌড়নগরীর এক ঐতিহাসিক স্থাপনা ছোট সোনামসজিদ। মসজিদটিকে বলা হতো ‘গৌড়ের রত্ন’। মসজিদের বাইরের দিকে সোনালি রঙের আস্তরণ ছিল। সূর্যের আলো পড়লেই তা সোনার মতো ঝলমল করে উঠত। এ জন্যই এর নাম হয়ে যায় সোনামসজিদ।

তার প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধের দুই বীর সন্তানের কবর। মসজিদের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে সীমানাপ্রাচীরের ভেতরেই বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ও মুক্তিযুদ্ধে ৭ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক মুক্তিযোদ্ধা মেজর নাজমুল হকের কবর। মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের পশ্চিম পাশে শায়িত আছেন মুক্তিযুদ্ধের আরেক বীর মেজর নাজমুল হক। তিনি চট্টগ্রামের সন্তান। ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোলন্দাজ রেজিমেন্টের সুদক্ষ কর্মকর্তা। আমরা কয়েকজন কবরে ফাতেহা পাঠ করে তাঁদের জন্য দুআ করলাম।

কবর জিয়ারত করে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করি। কৌতূহলী মন তখন ঐতিহাসিক ভাবাপন্ন হয়ে ওঠলো! দেখতে থাকি, মসজিদটি ইট দিয়ে তৈরি। তার ওপর পাথরের একটি স্তর বসানো আছে। মসজিদের বাইরের পরিমাপ ৮২ ফুট বাই সাড়ে ৫২ ফুট; ভেতরের পরিমাপ ৭০ ফুট ৪ ইঞ্চি বাই ৪০ ফুট ৯ ইঞ্চি। উচ্চতা প্রায় ২০ ফুট। মধ্যবর্তী তিনটি নামাজের স্থানে খিলান করা চার খণ্ড ছাদ তৈরি করে মাঝখানে এনে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার দুপাশের প্রতি অংশে আছে ছয়টি করে গোলাকার গম্বুজ। এই বারোটির পাশাপাশি চৌচালা গম্বুজ আছে তিনটি। মাঝখানে অবস্থিত এই চৌচালা গম্বুজগুলোর ভেতরের দিকে গোলাপ ফুলের মতো কারুকার্য করা।

মসজিদের চারদিকে চারটি বুরুজ (স্তম্ভ) রয়েছে। এগুলোর ভূমি অষ্টকোণাকৃতির। বুরুজগুলোতে ধাপে ধাপে বলয়ের কাজ আছে। বুরুজগুলোর উচ্চতা ছাদের কার্নিশ পর্যন্ত। মসজিদের সামনে পাঁচটি এবং ডানে ও বাঁয়ে দুই পাশে তিনটি করে দরজা রয়েছে। প্রতিটি দরজারই কিনারায় আছে বেশ চওড়া করে খোদাই করা কারুকাজ। তবে তা খুব গভীর নয়, দূর থেকে বোঝা যায় না। দরজার পাশের দেয়ালগুলোতেও খোদাই করা কারুকাজ রয়েছে।

মসজিদের প্রবেশপথের পাথরের তোরণটিও সুদৃশ্য কারুকার্যময়। এই তোরণের সামনেই রয়েছে সেই আমলের সারি সারি কবর। সবই বাঁধানো। দুটি কবর বড় কালো পাথর দিয়ে বাঁধানো। এরপরেই মসজিদের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে চোখে পড়বে আমবাগান। তবে মসজিদের ভেতরে মহিলাদের অবাধ যাতায়াত মর্মাহত করেছে আমাকে। এমনি তো বেপর্দা তদুপরি যেমন-তেমনভাবে মসজিদের ভেতরটিতে ঘুরছে-ফিরছে! আমার মতে মসজিদের ভেতরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার অন্তত সীমাবদ্ধ করা গেলেই মঙ্গলজনক হবে।

ছোট সোনামসজিদ দেখে আমাদের তৃপ্তি হলো। এতক্ষণে সূর্য মধ্যাকাশে পড়ারও সময় হয়েছে। উত্তর জনপদের তীব্র গরমে আমরা হাঁপিয়ে ওঠেছি। মসজিদের সামনে থেকে আইসক্রিম কিনে খেলাম একটু ঠাণ্ডা হওয়ার আশায়। সোনা মসজিদকে বিদায় জানিয়ে আমরা গাড়িতে চড়ে বসলাম।

পথিমধ্যে শাহ নেয়ামতুল্লাহ (রহ.)-এর মাজার এবং তৎসংলগ্ন তাহখানায় গেলাম। তাহখানা ফারসি শব্দ। এর অর্থ : ঠাণ্ডা প্রাসাদ। মুঘল আমলে সুজা খানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয় একতলা বিশিষ্ট এই তাহখানা। শাহ সৈয়দ নেয়ামতউল্লাহ ছিলেন মধ্যযুগের একজন প্রখ্যাত ইসলাম প্রচারক। তিনি তৎকালীন গৌড়ে ইসলাম প্রচার করেন। সুলতান শাহ সুজার রাজত্বকালে (১৬৩৯-১৬৬০ খ্রি.) তিনি দিল্লী প্রদেশের করোনিয়ার নামক স্থান থেকে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশে নানা স্থান ভ্রমণ করে রাজমহলে এসে উপস্থিত হন। তার আগমনবার্তা জানতে পেরে শাহ সুজা তাকে অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে অভ্যর্থনা জানান এবং তার নিকট বায়আত গ্রহণ করেন। পরে তিনি গৌড়ের উপকণ্ঠে (বর্তমান শিবগঞ্জ উপজেলা) ফিরোজপুরে স্থায়ীভাবে আস্তানা স্থাপন করেন। দীর্ঘদিন এই অঞ্চলে তিনি সুনামের সঙ্গে ইসলাম প্রচার করে ফিরোজপুরেই ১০৭৫ হিজরী (১৬৬৪ খ্রিস্টাব্দে) মতান্তরে ১০৮০ হিজরীতে (১৬৬৯ খ্রিস্টাব্দে) সমাধিস্থ হন।

ছোট সোনা মসজিদ থেকে প্রায় ৫০০ মিটার উত্তর-পশ্চিমে জাহেদুল বালা নামের দিঘীর পশ্চিম পাড়ে তাহখানার অবস্থান। উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব কোণায় দুটি অষ্ট কোনাকৃতির কক্ষসহ উপরতলায় মোট ১৭টি কক্ষ আছে। উওর পাশের কক্ষটি নামাজ কক্ষ এবং অন্যান্য কক্ষগুলো দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে যেমন-ক্ষৌরকর্ম, বিশ্রাম, আপ্যায়ন, ভোজনালয়, গোসল ইত্যাদি কাজে ব্যবহার হত। দক্ষিণ পাশে গম্বুজাকৃতির হাম্মামখানা অবস্হিত। দক্ষিণ-পূর্ব কোণায় অবস্থিত একটি সিঁড়ি পুকুর পর্যন্ত ধাবমান রয়েছে। হাম্মামখানা ও প্রসাধনাগারে মাটির পাইপের সাহায্যে গরম ও ঠাণ্ডা পানি সরবরাহের ব্যবস্থা ছিল। চুন-সুরকির সাহায্যে ছোট আকৃতির ইট দ্বারা নির্মিত ইমারতের ভিতরের দেয়ালের গায়ে বিভিন্ন নকশা রয়েছে।

ইমারতটির ব্যবহার সম্পর্কে দুটি মত প্রচলিত আছে, প্রথমত শাহ সুজা অবকাশ যাপন, এলাকা পরিদর্শন এবং তার আধ্যাত্মিক গুরু শাহ নেওয়ামতউল্লাহ (র) এর সাথে সাক্ষাতের জন্য এসে অবস্থান ও রাত্রিযাপন করতেন। দ্বিতীয়ত, আধ্যাত্মিক গুরু শাহ নেয়ামতউল্লাহ (র) এর বসবাসের নিমিত্তে শাহ সুজা ১৬৫৫ সালে এটি নির্মান করেন। এ ইমারতের উত্তর-পশ্চিমে মোগল আমলের একটি মসজিদ এবং উওরে শাহ নেয়ামতউল্লাহ (র.) মাজার অবস্থিত। বর্তমানে এই ইমারতগুলো প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষিত।

তবে আল্লাহর এ ওলীর মাজারটিকে ঘিরে শুরু হয়েছে ভণ্ডদের ব্যবসা। দিন-দুপুরে আগরবাতির ধোঁয়ার গন্ধে বিরক্তিই পাচ্ছিল আমাদের। এতক্ষণে গরমও যেন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে। তাহখানার ভেতরটা আবারও ঘুরে ঘুরে দেখলাম। অপূর্ব নির্মাণশৈলী আর কারুশিল্প দেখে মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন না হয়ে পারিনি।

নেওয়াজ ভাইয়ের তাগিদে সবাই গাড়িতে গিয়ে ওঠলাম। কথা ছিল ইনস্টিটিউট মসজিদে গিয়ে যুহরের নামাজ পড়বো। আল্লাহর রহমতে আমরা যথাসময়েই চলে আসলাম ইনস্টিটিউট মসজিদে। যুহরের পর খাবার খেলাম। আসরের পর ইনস্টিটিউটের ভেতরটা ঘুরে ঘুরে দেখেছি। মাগরিবের পর মিম্বার থেকে আম বয়ান হলো। চিল্লা, বিশ দিন, দশ দিন, এক সপ্তাহ ও তিন দিনের জন্য ছাত্ররা তশকিল হলো। আমরা খেদমতে ছিলাম। এশার নামাজের পর উপস্থিত ছাত্র ও মুসল্লিদেরকে বিরিয়ানি দিয়ে মেহমানদারি করা হলো।

সবকিছু সম্পন্ন ও স্বাভাবিক হতে হতে রাত এগারোটা বেজে গেল। আমরা পাঁচ-ছয়জন আমির সাহেবের অনুমতিক্রমে বের হলাম। জ্যোৎস্না রাতে মহানন্দার জলে চাঁদের আলো ঝিকমিক করছে। নদীর ওপর সুদীর্ঘ ব্রিজটি হেঁটে হেঁটে পারাপার হয়েছি কয়েকবার। পরদিন বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে রাজশাহী ফেরার কথা। আমরা ফজরের আজানের সাথে সাথেই অটো নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের দিকে চলা শুরু করি। রেলস্টেশন মসজিদে মুখতাসার জামাত পড়ে নিলাম। পরক্ষণেই চেপে বসি ট্রেনে। নির্ধারিত সময়েই ছাড়লো বনলতা। এগিয়ে চললো রাজশাহী অভিমুখে। হালকা কুয়াশার অন্তরালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনও ক্রমশ দৃষ্টির অগোছর হয়ে যেতে লাগলো।

লেখক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *