দেশে কখন কী ঘটে বলা যায় না : কাদের

দেশে কখন কী ঘটে বলা যায় না : কাদের

দেশে কখন কী ঘটে বলা যায় না : কাদের

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বাংলাদেশে কখন কী ঘটে বলা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ জন্য দলের নেতাকর্মীদের ক্ষমতার দাপট না দেখানোর জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, যারা দল করেন তারা মনে রাখবেন দলে যদি ঐক্যকে গুরুত্ব না দেন, নিজেদের মধ্যে কলহ-কন্দোল থাকে তাহলে দুঃসময়ে প্রতিপক্ষ কোন্দলের ওপর আঘাত হানবে। এ দেশে কখন কী ঘটে বলা যায় না। চিরজীবন আমরা ক্ষমতায় থাকবো এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাবেন না, আমরাও ভাবি না। চিরকাল কেউ ক্ষমতায় থাকে না। চোখের পলকে বাংলাদেশে ১৫ আগস্ট ঘটে গেছে। হঠাৎ করে ২১ আগস্ট। ক্ষমতায় থেকে যে যেখানে আছেন ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। যখন ক্ষমতায় থাকবেন না প্রতিপক্ষ প্রতিশোধ নেবে।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, হত্যা হত্যাকে ডেকে আনে। জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত না থাকতেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতেন তাহলে আরেকটি খুনি চক্র জিয়াউর রহমানকে হত্যা করতে পারত না বলে আমার বিশ্বাস। যে বুলেট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে এতিম করেছে সেই বুলেট খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের যে পুরস্কৃত করেন, হত্যার বিচার হবে না— এই ইডেমনিটি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন তাকে বলে বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। তারপর আবার ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বিভিন্ন হত্যাকা-ের কথা তুলে বলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা বিচার বহির্ভূত হত্যার কথা বলেন তারা যেন নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখে নেন।

দেশে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে হারে সংক্রমণের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞরা করেছিলেন, সেই হারে সংক্রমণ হয়নি। তারপরও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে শৈথিল্য না দেখিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে জনবল বাড়ানো হয়েছে, জনবল আরও দরকার। আমাদের করোনা সুরক্ষা সামগ্রী আরও দরকার। কিছু কিছু বেসরকারি মেডিকেল হাসপতালে শিক্ষা ও সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সেবার ব্রত নিয়ে সকলকে কাজ করতে হবে।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বিএসএমএমইউ শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজবীর সভাপতিত্বে বক্তব্য আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার কনক কান্তি বড়ুয়া এবং স্বাচিপের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান ও সাধারণ সম্পাদক ডা. এমএ আজিজ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *