পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : করোনা প্রতিরোধে সরকারিভাবে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছিল গেলো বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। এরপর গত বছরে দেশব্যাপী টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে প্রায় ১০ কোটি। রোববার (০৬ ফেব্রুয়ারি) এই মাইলফলক ছাড়ানোর আশার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এদিন ভার্চ্যুয়াল বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৯ কোটি ৮৯ লাখের বেশি মানুষকে, যা আজ ১০ কোটি ছাড়াবে। এখন পর্যন্ত ৬ কোটি ৪৬ লাখের বেশি মানুষকে দেওয়া হয়েছে টিকার দ্বিতীয় ডোজ। এরইমধ্যে ১ কোটি ৪১ লাখ শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ এবং ২৬ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।
টিকাদান শুরুর পর গত এক বছরে একাধিক বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আওতায় নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রের পাশাপাশি ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড, কমিউনিটি ক্লিনিকে দফায় দফায় টিকা দেওয়া হয়।
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও গত দুই দিন ধরে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তবে সামগ্রিকভাবে সংক্রমণ নিম্নমুখী হয়েছে, তা বলার মতো সময় এখনো আসেনি। তার কারণ, ভাইরাসটি শনাক্তের বিপরীতে দৈনিক মৃত্যুর হার এখনো বেশি, বলেন ডা. নাজমুল ইসলাম।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়, যা আগের দিন ছিল ৩৬ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে ২৮ হাজার ৫৮৯ জনের মৃত্যু হলো। অপরদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৮ হাজার ৩৪৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে, যা গতকাল ছিল ৮ হাজার ৩৫৯ জন। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৬১ হাজার ৫৩২ জনে।