পাথেয় রিপোর্ট : দেশ পরিচালনায় কোনো ভুলভ্রান্তি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক দশকে সরকার পরিচালনায় কোনো ভুল হয়ে থাকলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। গত দশ বছরে দায়িত্ব পালন বা কাজ করতে গিয়ে আমার ও সহকর্মীদের কোনো ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকতে পারে। আমি দলের প্রধান হিসেবে সবার পক্ষ থেকে তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ করছি।
১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীর সোনার গাঁ হোটেলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আমি কথা দিচ্ছি, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা আরো সুন্দর ভবিষ্যত নির্মাণ করব। জাতির পিতার কাঙ্ক্ষিত ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব। তিনি বলেন, বাবা-মাকে হারিয়ে আমি রাজনীতি করছি শুধুমাত্র এদেশের জনগণের জন্য। এদেশের সাধারণ মানুষ যাতে ভালোভাবে বাঁচতে পারে উন্নত জীবন পায় এবং যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এই দুই মহাযজ্ঞকে সামনে রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ সমৃদ্ধির পথে দেশকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যদি এ সময় রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকে তাহলে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য হবে গ্লানিকর। নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আবার আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করুন। আপনারা নৌকায় ভোট দিন। আমরা আপনাদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জন করে দেব। এটা আমাদের জাতির কাছে ওয়াদা।
নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করতে অনুষ্ঠানের মঞ্চে এসে শেখ হাসিনা প্রথমেই স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশকে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ত্রিশ লাখ শহীদ, দুই লাখ নির্যাতিত নারী, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের এবং পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদেরও তিনি স্মরণ করেন।
এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২১টি ‘বিশেষ’ অঙ্গীকার নিয়ে আসছে। আজ মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) ঘোষিত ইশতেহারে তাদের এসব অঙ্গীকার তুলে ধরা হবে। দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে সকাল ১০টায় ইশতেহার তুলে ধরবেন।
জানা গেছে, এই ইশতেহারের নাম দেয়া হয়েছে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ।’ এখানে যে ২১টি বিশেষ অঙ্গীকার করা হয়েছে। এসব অঙ্গীকারের মধ্যে দুটি উল্লেখযোগ্য বিষয় রয়েছে। এগুলো হলো: ১. আমার গ্রাম-আমার শহর-শিরোনামে অঙ্গীকারে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার রূপরেখা তুলে ধরা হবে। ২. তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি এই শিরোনামে করা অঙ্গীকারে তরুণ ও যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর এবং কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার কথা বলা হয়েছে।