দোষী সাব্যস্তের পর ইমরান খান গ্রেফতার

দোষী সাব্যস্তের পর ইমরান খান গ্রেফতার

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেফতার হয়েছেন। শনিবার বিকেলে লাহোরের নিজ বাসভবন জামান পার্ক থেকে তাকে গ্রেফতার করে পাঞ্জাব পুলিশ। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (এডিএসজে) হুমায়ুন দিলাওয়ার। এ অবস্থায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন আইনি বিশেষজ্ঞরা।

বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি নিজের কোষাগারে জমার রাখার দায়ে শনিবার (৫ আগস্ট) ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যানকে। একইসঙ্গে আদালত ইমরান খানকে আরও ১ লাখ রুপি জরিমানাও করেছেন। এরপরই বিচারক সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে তার আইনজীবী ইন্তাজার হুসেন তাক্ষণিকভাবে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাড়ি থেকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার বলেন, ইমরান খান নির্বাচন কমিশনে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। দুর্নীতির চর্চায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।’

ফলে নির্বাচন আইনের ১৭৪ ধারায় পিটিআইয়ের প্রধানের বিরুদ্ধে ৩ বছরের সাজা ঘোষণা করেন।

পিটিআই পাঞ্জাব এক টুইটবার্তায় নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ইমরান খানকে কোট লাখপত কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। তার আইনজীবী দল বলেছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আপিল করতে যাচ্ছেন তারা।

পিটিআইয়ের অভিযোগ, রায় ঘোষণার আগেই তাকে অপহরণ করতে বাসায় পৌঁছে যায় পুলিশ।

নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এ দিন সকাল থেকে আদালতের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এর আগে আল কার্দির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৯ মে ইসলামাবাদ আদালতের প্রাণঙ্গ থেকে গ্রেফতার হন তিনি। অবশ্য শনিবার তার অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করা হয়।

তোশাখানা মামলা

গত বছর ক্ষমতাসীন জোটের আইনপ্রণেতারা বলেছিলেন, ইমরান খান তোশাখানা থেকে (প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন) যে উপহারগুলো রেখেছিলেন, তা বিক্রি থেকে আয় যা করেন, তার বিবরণ তিনি কাউকে জানাননি। সে বছরের ২১ অক্টোবর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) জানায়, ইমরান খান সত্যিই উপহার সম্পর্কে মিথ্যা বিবৃতি ও ভুল তথ্য দেন।

তোশাখানা হলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীন একটি বিভাগ, যা অন্যান্য সরকার প্রধান ও বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শাসক ও সরকারি কর্মকর্তাদের দেওয়া উপহার সংরক্ষণ করে। তোশাখানার নিয়ম অনুসারে, উপহার ভেদে একটা নির্দিষ্ট অর্থ জমা দিয়ে প্রাপ্ত উপহার নিজের কাছে রাখা যায়।

সূত্র: ডন, জিও নিউজ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *