২৭শে জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৪ঠা রজব, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বেসরকারি শিক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল বাংলাদেশ। এর মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষার ৫৫ শতাংশ এবং প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার ৫৫ শতাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভরশীল।
দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত দেশগুলোর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের তুলনামূলক পরিসংখ্যানে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ইউনেস্কোর গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট ২০২২’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর শিক্ষা ব্যবস্থার পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। এতে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে ব্র্যাক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাক প্রাথমিক শিক্ষায় সর্বোচ্চ বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শ্রীলঙ্কায় ৮০ শতাংশ, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাংলাদেশে ৫৫ শতাংশ। প্রাথমিকে সর্বোচ্চ ভারতে ৪৫ শতাংশ আর বাংলাদেশে ২৪ শতাংশ। মাধ্যমিকে বাংলাদেশের বেসরকারি বিদ্যালয়ে সর্বাধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী ৯৪ শতাংশ, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভারতে ৫১ শতাংশ এবং উচ্চ শিক্ষায় সর্বোচ্চ ভারতে ৫৭ শতাংশ আর বাংলাদেশে এই হার ৩৬ শতাংশ। গড়ে সবচেয়ে বেশি বেসরকারি খাতে নির্ভরতা বাংলাদেশের।
প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় শিক্ষায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি হলেও রাষ্ট্রের শিক্ষায় বিনিয়োগ অপ্রতুল। একমাত্র ভুটান ব্যতীত অন্যান্য দেশ কখনোই শিক্ষাক্ষেত্রে মোট সরকারি ব্যয়ের ১৫ শতাংশ বা মোট দেশীয় উৎপাদনের (জিডিপি) ৪ শতাংশের কাছাকাছিও ব্যয় করেনি। ২০১০ এর দশকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা শিক্ষাখাতে মোট জিডিপির ২.৫ শতাংশেরও কম ব্যয় করেছে। এমন অবস্থায় গুণগতমান এবং শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় পাকিস্তানের অবস্থা আরও খারাপ। দেশটির এ্যানুয়াল স্টেটাস অব এডুকেশন রিপোর্ট (এএসইআর) অনুযায়ী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া শেষে অর্ধেকেরও কম শিক্ষার্থী উর্দুতে একটি গল্প পড়তে পারে, ইংরেজিতে একটি বাক্য পড়তে পারে বা একটি সাধারণ ভাগের সমস্যা সমাধান করতে পারে।