ধর্মরক্ষা আন্দোলন কেবল ইসলামী রাজনীতি নয়
শেখ ফজলুল করীম মারুফ : এই ছবি দুইটার তাৎপর্য অনেক। বাংলাদেশের ইসলামপন্থী রাজনীতির ধারা ও চরিত্র বদলের সূচনাকালের ছবি এগুলো। বাংলাদেশের ইসলামপন্থী রাজনীতির চরিত্র অনেকটা “ধর্মরক্ষা” আন্দোলনের মতো। কিন্তু তা হওয়া উচিৎ ছিলো, সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন।
কারণ, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইসলামের এগুলোই বৈশিষ্ট্য। এবং এই বৈশিষ্ট্যগুলো সকলের জন্য। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও ইশা ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ইসলামপন্থী রাজনীতির সেই পুরোনো চরিত্র বদলে দিচ্ছে।
ক্রমেই তাদের রাজনীতি মানুষ কেন্দ্রীক হয়ে উঠছে। সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার ইস্যুগুলোই তাদের মুল ইস্যুতে পরিনত হচ্ছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর শায়খে চরমোনাই দা.বা. এর গত কয়েক বছরের রাজনৈতিক বক্তব্যে এটা খুবই পরিস্কার। নাগরিক অধিকার লঙ্ঘিত হলেই তিনি গর্জে উঠেছেন। সেখানে ধর্ম পরিচয় বিবেচ্য ছিলো না। সরকারী কর্মকর্তার জন্য ফেরিতে এক কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় শায়খে চরমোনাই এর প্রতিক্রিয়া এর একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
এই ছবি দু’টির একটি হলো গোপালগঞ্জ পুলিশ কতৃক এক গরীব হিন্দু কৃষক হওয়ার প্রতিবাদ, আরেকটি হলো, সরকার বিরোধী সমালোচনা করায় বামধারার নেতৃবৃন্দের (একজন বর্তমান নেতা, আরেকজন সাবেক নেতা গ্রেফতারের প্রতিবাদ।
এখানে মুল বিবেচ্য নাগরিক অধিকার। ধর্ম বা আদর্শ বিবেচ্য না। ধর্ম বা আদর্শের পরিচয় বিবেচ্য না করে কেবলই নাগরিক অধিকার বিবেচনায় এই যে রাজনৈতিক কর্মকান্ড এটা বাংলাদেশের ইসলামপন্থী রাজনীতিতে একেবারেই বিরল।
লেখক : সাবেক সভাপতি, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন