২৬শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৩রা রমজান, ১৪৪৪ হিজরি

ধানের দাম কমছে, চালের দাম বাড়ছে

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আমন মৌসুমের প্রায় ৯০ শতাংশ ধান কাটা এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ভরা মৌসুমে কৃষকের কাছে এখন ধানের মজুদ বাড়ছে। আর এই সময়ে কমছে ধানের দাম। তবে ধানের দাম কমলেও চালের বাজারে প্রভাব নেই।

এক মাসের ব্যবধানে রাজধানীতে সরু চাল, বিশেষ করে নাজিরশাইল ও মিনিকেটের দাম কেজিতে তিন টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য মতে, গতকাল রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সরু চাল (নাজিরশাইল/মিনিকেট) বিক্রি হয়েছে ৬০-৭৫ টাকায়। যদিও এক মাস আগে এই চালের দাম ছিল ৬২-৭২ টাকা। ফলে এক মাসের ব্যবধানে এই চালের দাম তিন টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এ ছাড়া (পাইজাম/লতা) প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫২-৫৮ টাকায় এবং মোটা চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৭-৫২ টাকায়। মূলত নাজিরশাইল ও মিনিকেট চালই বাজারে বেশি বেচাকেনা হয়ে থাকে।

পাইকারি চাল ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রাইস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য মতেও রাজধানীতে চালের দাম বেড়েছে। চিনিগুঁড়া চালের দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা ও গুটি চালের দাম এক টাকা বেড়েছে। গতকাল প্রতি কেজি গুটি চাল ৪৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা আগে ছিল ৪৫ টাকা। অন্যদিকে চিনিগুঁড়া চাল বিক্রি হয়েছে ১৩৫ টাকায়, যা আগে ছিল ১২৫ টাকা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রাইস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জাকির হোসেন রনি বলেন, ধানের দাম কমার পরেও চালের দাম না কমা ভোক্তাদের জন্য কষ্টের। বাজারে চালের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু মিলগেটে এখনো চালের দাম খুব বেশি কমানো হয়নি। চালের বাজারের বেশির ভাগই নিয়ন্ত্রণ করেন চালকল মালিকরা। তাঁরা চালের দাম কমালে বাজারে খুচরা পর্যায়ে দ্রুতই কমে যাবে। তা ছাড়া চালের আমদানি বাড়লে ভবিষ্যতে দাম আরো কমতে পারে।

দেশের অন্যতম বড় বাজার উত্তরবঙ্গের নওগাঁ জেলার বিভিন্ন মোকামে গতকাল প্রতি মণ স্বর্ণা-৫ ধান বিক্রি হয়েছে এক হাজার ১৮০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০

টাকায়। এ ছাড়া ব্রি-৫১ বিক্রি হয়েছে এক হাজার ১৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১৮০ টাকায়। এ ছাড়া গুটি স্বর্ণা বিক্রি হয়েছে এক হাজার ১১০ টাকা থেকে এক হাজার ১৫০ টাকায়। এসব ধানের দাম দুই সপ্তাহ আগে গড়ে প্রায় ৫০-১২০ টাকা বেশি ছিল। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম কমতির দিকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন নওগাঁর ধান-চাল ব্যবসায়ী মোতালেব হোসেন।

তিনি বলেন, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে এক-তিন টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজারে ধানের সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে দাম কিছুটা কমতির দিকে রয়েছে। তবে চালের দাম মোকাম থেকেও চলতি সপ্তাহে কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

শেয়ার করুন


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ১৯৮৬ - ২০২২ মাসিক পাথেয় (রেজিঃ ডি.এ. ৬৭৫) | patheo24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com