পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ইসরায়েল শুক্রবার অন্তত তিনটি হাসপাতাল বা এর কাছাকাছি বিমান হামলা চালিয়েছে বলে গাজার কর্মকর্তারা বলেছেন। ইসরায়েলের হামলায় বাস্তুচ্যুত হওয়া হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো বিপন্ন করে তুলেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা আল জাজিরা টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘ইসরায়েল গত কয়েক ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি হাসপাতালে একযোগে হামলা চালিয়েছে।’
কিদরা বলেন, ইসরায়েল গাজা শহরের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
এতে সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তবে বিস্তারিত কিছু তিনি জানাননি। ইসরায়েল বলেছে, আল শিফার নীচে হামাসের লুকানো কমান্ড সেন্টার এবং টানেল রয়েছে। এদিকে হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কিদরার দেওয়া এই বিবৃতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি এবং সংবাদ সংস্থা রয়টার্সও স্বাধীনভাবে তা যাচাই করতে পারেনি।
৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাস হামলা চালানোর পর মাসব্যাপী গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে গাজার হাসপাতালগুলোকে সামলাতে তীব্র লড়াই করে যাচ্ছে চিকিৎসকরা। চিকিৎসা সরবরাহ, বিশুদ্ধ পানি এবং জেনারেটরের জ্বালানি প্রায় শেষ হয়ে গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজার ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে ১৮টি এবং অন্যান্য ৪০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বোমা হামলা এবং জ্বালানির অভাবের পরিষেবার বাইরে চলে গেছে।
ফিলিস্তিনি মিডিয়া আজ শুক্রবার আল শিফা হাসপাতালের বাইরে হামলার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। তবে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি পার্কিং লটে ইসরায়েলি হামলার পর বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এক্স(সাবেক টুইটার)-এ বলেছে, ‘চলমান হামলার কারণে হাজার হাজার বেসামরিকদের নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন আমরা। এদের মধ্যে অনেক শিশুর চিকিৎসা সেবা এবং আশ্রয় প্রয়োজন।