পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা থেকে প্রেমের ফাঁদ, নানাবিধ ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদে পড়ে প্রতিনিয়তই বাড়ছে সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়ার ঘটনা। প্রতারকরা এমনভাবে ফাঁদ সাজায় যে তাতে পা দিয়ে ফেলেন অনেকেই। এর মধ্যে জালিয়াতির একটি অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ।
কেননা অনেকেই সামাজিক বা কাজের প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির কারণে এ অ্যাপটিতে প্রতারণা ও জালিয়াতির ঘটনা বেড়েই চলেছে। ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতে সাইবার অপরাধীরা বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি কলও করে থাকে। তবে কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করে হোয়াটসঅ্যাপে নিরাপদ থাকা যায়।
অপরিচিত নাম্বার থেকে সতর্ক থাকতে হবে
হোয়াটসঅ্যাপে যদি অপরিচিত কোনো ব্যক্তি ভিডিও কল বা মেসেজ করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেবেন না। প্রথমে তার নম্বরটি চেক করুন। যদি দেখেন তিনি কারো কাজের কথা বলছেন না। তাহলে তাকে ব্লক করে দিন। অনেক সময় দরকারি কথা শুরু করেই তারপরে স্ক্যাম করা হয়।
সাইবার জালিয়াতরা সাধারণত ব্যাংক, ডেলিভারি সার্ভিস ও সরকারি সংস্থার নামে লোকেদের কাছে মেসেজ পাঠায় এবং তাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। এছাড়াও তাদের মেসেজে লেখা থাকে, অনেক মানুষের সঙ্গে এই ওয়েব লিংক শেয়ার করুন। এমন কোনও মেসেজ পেলে ভুলেও তাতে ক্লিক করবেন না।
ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার না করা
কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কখনোই ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না। যেমন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ইন্টারনেট ব্যাংকিং পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের বিবরণ ইত্যাদি তথ্য কাউকেই জানাবেন না।
ক্লিক করার আগে ভাবুন
হোয়াটসঅ্যাপে কোনো মেসেজের সঙ্গে যদি লিংক দেখতে পান, ভুলেও তাতে ক্লিক করবেন না। আপনার বিশ্বস্ত কেউ যদি লিংকটি শেয়ার করে, তবে আপনি এটি দেখতে পারেন, কিন্তু অপরিচিত নম্বর থেকে আসা মেসেজে ক্লিক করবেন না। এই লিংকগুলোর সাহায্যে ফোনে ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস ডাউনলোড করা হয়।