নতুন পথ ব্যবহার করে ইউক্রেনে পৌঁছাল দুটি কার্গো জাহাজ

নতুন পথ ব্যবহার করে ইউক্রেনে পৌঁছাল দুটি কার্গো জাহাজ

পাথেয় টুয়েন্টিফোর ডটকম: কৃষ্ণসাগরের নতুন একটি পথ ব্যবহার করে ইউক্রেনের বন্দরে দুটি কার্গো জাহাজ পৌঁছেছে। গতকাল শনিবার এগুলো চোরনোমোরস্ক বন্দরে পৌঁছায় বলে নিশ্চিত করেছে ইউক্রেনের বন্দর কর্তৃপক্ষ।

ওই জাহাজগুলোয় এখন ২০ হাজার টন গম বোঝাই করে তা বিশ্ববাজারে রপ্তানি করা হবে। ইউক্রেনের কৃষি মন্ত্রণালয় বলেছে, জাহাজগুলোয় পণ্য বোঝাই করে মিসর ও ইসরায়েলে পাঠানো হবে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, কৃষ্ণসাগরে চলাচলকারী জাহাজগুলোর সুরক্ষা প্রশ্নে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো কোনো বেসামরিক জাহাজ ইউক্রেন বন্দরে পৌঁছেছে। নতুন এ পথ এর আগে ইউক্রেন থেকে ছেড়ে যাওয়া জাহাজগুলোই শুধু ব্যবহার করত।

ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ওলেকসান্দর কুবরাকোভের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পালাউয়ের পতাকাবাহী জাহাজ দুটির নাম রেজিলিয়েন্ট আফ্রিকা ও আরোইয়াত। জাহাজের নাবিকদের মধ্যে ইউক্রেন, তুরস্ক, আজারবাইজান ও মিসরের নাগরিকেরা আছেন।

ইউক্রেনের বন্দর থেকে শস্য রপ্তানি নিয়ে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে হওয়া চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর কিয়েভ একতরফা নতুন এ করিডর ঘোষণা করেছে। এ পথ কৃষ্ণসাগরের পশ্চিম উপকূলের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করেছে।

বিশ্ববাজারে সূর্যমুখী তেল, যব, ভুট্টা ও গমের মতো খাদ্যশস্যের বড় জোগানদাতা দেশগুলোর একটি ইউক্রেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর মস্কোর নৌবাহিনী দেশটির কৃষ্ণসাগরবর্তী বন্দরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। এতে রপ্তানির জন্য রাখা দুই কোটি টন শস্য আটকা পড়ে।

এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বে খাদ্যের দাম বেড়ে যায় এবং মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলোয় খাদ্যসংকট দেখা দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এসব দেশ ইউক্রেন থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে খাদ্যশস্য আমদানি করে থাকে।

এগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান, ইয়েমেন, সুদান, ইথিওপিয়াসহ কিছু দেশের জন্য জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *