নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবি খেলাফত মজলিসের

নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবি খেলাফত মজলিসের

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ বলেছেন, বর্তমান শিক্ষাক্রমে মূল শিক্ষাকে গণশিক্ষার স্তরে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞান ও ধর্মীয় শিক্ষাকে সংকুচিত করা হয়েছে। এই শিক্ষানীতি থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ‘বর্তমান শিক্ষানীতি, নতুন শিক্ষাক্রম ও জাতির ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ বলেন, ‘আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার স্বকীয়তা নষ্ট করা হয়েছে। অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। সামর্থ্যবানদের অনেকে আজ ইংরেজি মাধ্যমে তাদের সন্তানদের পাঠিয়ে দিচ্ছে। পরীক্ষা না থাকাতে শিক্ষার্থীরা বাসায় পড়াশোনা করে না। ট্রান্সজেন্ডার ও অবাধ মেলামেশার সংস্কৃতি আমদানি করে মূল্যবোধের ধস নামানো হচ্ছে। আধুনিকতার নামে নৈতিকতা বিসর্জন দেওয়ার এ শিক্ষ্যাব্যবস্থা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।’

খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে এ দেশে অনেকগুলো শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। সেক্যুলার ও নাস্তিকদের হাতে রচিত এসব শিক্ষাক্রমে কোনও ইসলামি বিশেষজ্ঞ শিক্ষাবিদ ছিলেন না। বর্তমান শিক্ষাক্রম রচনায় ইসলামি শিক্ষাবিদ-সহ কোনও অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়নি। ভুলত্রুটি পর্যালোচনা না করে বই ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে ভুল পাঠ্যক্রম তুলে দেওয়া হয়েছে। একদিকে যেমন দেশের আর্থিক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে, অপরদিকে জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পঙ্গু করা হচ্ছে। তাই এই শিক্ষাক্রম বাতিল করতে হবে।’

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, বর্তমান সরকারের আদর্শ যা, শিক্ষা ব্যবস্থায় তাই প্রতিফলিত হয়েছে। যে সরকার অনৈতিকভাবে ক্ষমতা আরোহণ করেছে, তারা কীভাবে নৈতিক মূল্যবোধ-সম্পন্ন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করতে পারে! তাই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে মাঠে নামতে হবে।

খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন— দলটির ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, ঢাকা সিটি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক খালেকুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম

বদরুদ্দোজা, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মাওলানা জিয়াউল হক শামীম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নায়েবে আমির এরশাদুল বারি প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *