২৬শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৩রা রমজান, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : করোনা প্রতিরোধে এবার নাকে নেওয়া ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে ভারত। ভারত বায়োটেকের বানানো এই ইনকোভ্যাক ড্রপ নাকে দিতে হয়, যা নাসিকা গহ্বরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোষগুলোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। খবর বিবিসি।
গেল বছরের সেপ্টেম্বরে শ্বাসের সাহায্যে নেওয়া যায় এমন একটি কোভিড ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছিল চীন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, নাকে নেওয়া ভ্যাকসিন নাকের গহ্বর ও এর উপরের শ্বাসনালীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। কেননা করোনা সাধারণত এ পথ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। এদিকে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা নাকে নেওয়া স্প্রে ভ্যাকসিনগুলো নিয়ে কাজ করছে।
গেল নভেম্বরে ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে জরুরি পরিস্থিতিতে ইনকোভ্যাককে হেটেরোলগাস বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। তবে যারা আগে ভারতে বানানো কোভিড টিকা কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনের দুই ডোজ নিয়েছিল।
ডিসেম্বরে ইনকোভ্যাককে প্রাথমিক ভ্যাকসিন এবং দুই টিকা পরবর্তী সাধারণ বুস্টার হিসেবে ব্যবহারেও ছাড়পত্র দেয় কর্তৃপক্ষ।
প্রতি ডোজ টিকা পেতে প্রাইভেট হাসপাতালে ৮০০ টাকা এবং সরকারি হাসপাতালে ৩২৫ টাকা গুণতে হবে। এই টিকা পেতে সরকারের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন করা যাবে। দুটি ডোজ টিকার ব্যবধান হবে ২৮ দিন।
ইনকোভ্যাক জেনেটিক কোডের বাহক হিসেবে অ্যাডেনোভাইরাস ব্যবহার করে, যা মানুষের শরীরে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শেখায়।
ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান ডা. কৃষ্ণা এলা বলেছেন, এ ভ্যাকসিনটি মানুষের শরীরে নেওয়া খুব সহজ। কারণ এটি ব্যবহারে সিরিঞ্জ বা সূঁচের প্রয়োজন নেই। এটি পুশযোগ্য কোভিড ভ্যাকসিনের তুলনায় রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক ক্ষমতা সৃষ্টি করেছে।
ভারত এখন পর্যন্ত ২০০ কোটির বেশি ডোজ টিকা নিয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ কমপক্ষে দুটি ডোজ টিকা গ্রহণ করেছে।