নাগরিকদের কল্যাণে সংসদ কার্যকর ভূমিকা রাখবে : রাষ্ট্রপতি

নাগরিকদের কল্যাণে সংসদ কার্যকর ভূমিকা রাখবে : রাষ্ট্রপতি

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: জাতীয় সংসদকে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মূলভিত্তি অভিহিত করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদ জনগণের সব প্রত্যাশার ধারক ও বাহক। তাদের চাহিদাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নাগরিকদের কল্যাণে সংসদ যথাযথ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে এটাই জনগণের প্রত্যাশা।

মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, আপনারা সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত। জনগণ অনেক আশা নিয়ে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে যেন তাদের চাওয়া-পাওয়া আপনারা সংসদে তুলে ধরেন। এটাই সংসদ সদস্য হিসেবে আপনাদের মূল দায়িত্ব ও কর্তব্য।

তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদে অনেক সংসদ সদস্য প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে অনেকে বয়সে নবীন। সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি এবং সংশ্লিষ্ট রীতিনীতি আয়ত্ত করে তারা দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবেন এটি তাদের কাছে আমার প্রত্যাশা। এক্ষেত্রে জাতীয় সংসদের অভিজ্ঞ সংসদ সদস্যরা তাদের মেধা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে নবীন সংসদ সদস্যদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।

উন্নয়নের মূল ভিত্তি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গণতন্ত্রের অব্যাহত চর্চা উল্লেখ করে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, গণতন্ত্রের স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ হলে উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হয়। গত দেড় দশকে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বজায় থাকার কারণে দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। উন্নয়নের এ গতিধারা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য— ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পর পরবর্তী লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তরুণদের প্রশিক্ষিত করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেধা ও প্রযুক্তিনির্ভর উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত স্বল্পমেয়াদি (২০২৫ সাল), মধ্যমেয়াদি (২০৩১ সাল) এবং দীর্ঘমেয়াদি (২০৪১ সাল) কর্মপরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন নবগঠিত মন্ত্রিসভাকে নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংকিং, প্রশাসন, উদ্ভাবন, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, ডিজিটাল অর্থনীতি, আইসিটি শিল্পসহ প্রায় সব খাতে সমানভাবে উন্নতি হয়েছে। বিগত বছরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের নানা উদ্যোগ বাস্তবায়নে সাফল্যের স্বীকৃতস্বরূপ বাংলাদেশ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *