পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : নিজ ঔরসজাত মেয়েকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ইবরাহিম রহমান রুমি (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মেয়েটির মায়ের করা মামলায় আজ মঙ্গলবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে তিনি আত্মসমর্পণ করলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক জুলফিকার হায়াৎ এই আদেশ দেন।
ইবরাহিম রুমি ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি এর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং পেশায় একজন চিকিৎসক। তার বসবাস ঢাকার কলাবাগানে।
রুমির সাবেক স্ত্রী গত ১ ডিসেম্বর কলাবাগান থানায় এই মামলাটি করেন।
তাতে বলা হয়, ছয় বছর আগে ২০১৬ সালে তাদের বিয়ে হয়েছিল। দুই বছর পর তাদের মেয়ে হয়। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় একসময় তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
বিচ্ছেদের পরে মেয়েটি তার মায়ের সঙ্গে থাকলেও গত বছরের ২৩ মার্চ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাবার কাছে ছিল। মেয়ের জিম্মা পেতে মা হাইকোর্টে আবেদন করলে ২২ সেপ্টেম্বর তার পক্ষে আদেশ আসে।
এজাহারে বলা হয়, ইবরাহিম রহমান রুমির কাছ থেকে মেয়েকে বাসায় আনার পর মেয়ের পোশাক পরিবর্তনের সময় যৌন নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পান মেয়ের মা। এবিষয়ে জানতে চাইলে মেয়ে তার বাবার কথা বলে।
পরে শিশুটিকে ২৭ নভেম্বরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে দেখেন যে, শিশুটি নানাভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে, বলা হয় এজাহারে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহমুদা আক্তার জানান, আসামি আত্মসমর্পণের পর জামিনের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু আদালতের নিয়মিত বিচারক না থাকায় সে বিষয়ে আদেশ হয়নি।
এর আগে হাইকোর্ট তার আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করেছিল।
মঙ্গলবার শুনানির পর আদালতের বারান্দায় সাংবাদিকরা আসামির ছবি তুলতে গিয়ে বাধা পান। সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন, প্রকাশিতব্য দৈনিক ভোরের আকাশের সাংবাদিক সাব্বির আহমেদ সজীবকে লাঞ্ছিত এবং সারাবাংলা ডটকমের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন আসামি রুমি নিজে এবং তার আইনজীবীরা। তারা ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ছবি মুছে ফেলেন।