নির্বাচনের ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু

নির্বাচনের ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু

পাথেয় রিপোর্ট : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার মঙ্গলবার বিকেল থেকে পাঠানো শুরু হয়েছে । দূরবর্তী জেলাগুলো ছাড়াও আজ পার্বত্য জেলাগুলো পাঠানো হবে। সরকারি মুদ্রনখানা (বিজি প্রেস) থেকে কঠোর নিরপাত্তায় ব্যালট পেপারগুলো পাঠানো হবে।

ব্যালট পাঠানোর ব্যাপারে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ভোটগ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ। ব্যালট মুদ্রণও শেষপর্যায়ে। কয়েকটি আসনে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। সেই আসনগুলোয় শেষ মুহূর্তে ব্যালট মুদ্রণ হবে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ২২৩ আসনের ব্যালট মুদ্রণ পুরোপুরি শেষ। জামায়াত নিয়ে ইসির সিদ্ধান্ত এবং কয়েকটি আসনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেখানকার ব্যালট মুদ্রণ করা যাচ্ছে না।তবে যাই হোক ২৮ তারিখের মধ্যে সব আসনের ব্যালট মুদ্রণ সম্পন্ন হবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচনের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতিও প্রায় সম্পন্ন। নির্বাচনি প্রশিক্ষণও শেষ। ভোটগ্রহণের জন্য সিল-প্যাডসহ নির্বাচনী সামগ্রী ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে স্ট্যাম্প প্যাড, অফিসিয়িাল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাশ সিল, লাল গালা, অমোচনীয় কালির কলম, হেসিয়ান বড় ব্যাগ, হেসিয়ান ছোট ব্যাগ, চার্জার লাইট, ক্যালকুলেটর, স্ট্যাপলার মেশিন ও স্টাপ পিন ইত্যাদি সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।

এর আগে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জেলায় জেলায় নির্বাচনী সামগ্রী পাঠিয়েছে ইসি। ব্যালাট পেপার ছাড়া অন্য সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।

এদিকে আজ নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন অাগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে তুমুল উত্তাপ ছড়িয়েছে। একপর্যায়ে সভাশেষ না করেই সংক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে আসেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনসহ অন্যরা। এসময় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় দু’পক্ষেই।

মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিভিন্ন অভিযোগ জানাতে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলেন।ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারে হামলা-বাধা ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ শুনতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অনীহা প্রকাশ করেন এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় এবং কামাল হোসেনসহ অন্যরা বেরিয়ে আসেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, পুলিশ লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হয়েছে, এই কথার প্রেক্ষিতে সিইসি ক্ষেপে যান। সিইসি পুলিশের পক্ষ হয়ে কথা বলেছেন, এটা হতে পারে না। সিইসির আচরণ ভদ্রোচিত ছিলেন না। আমরা তার পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণে সভা বর্জন করে চলে আসছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *