পাথেয় রিপোর্ট : জনগণ আওয়ামী লীগকে পছন্দ করে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ী হবে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ভোটের মাঠে জনগণের চেয়ে বড় অস্ত্র, বড় হাতিয়ার আর কিছু নেই। জনগণের ভোটেই উন্নয়নের রোল মডেল শেখ হাসিনা আবারো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। জনগণের শক্তি নিয়ে আমরাই বিজয়ী হবো।
১৮ ডিসেম্বর বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ফরাজী বাজারে, টেকের বাজার, পশ্চিম দরাফ নগর ও নুর সোনাপুর এলাকায় পৃথক পৃথক নির্বাচনী পথসভায় ও মহিলা সমাবেশে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের মতামত বিষয়ে বলেন, এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। চার জন ইসি’র মধৌ একজনের ভিন্ন মত থাকতে পারে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ট মতামত যেদিকে যাবে। সেটাই সত্য এবং তার আলোকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসময় তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ সম্পর্কে বলেন, মওদুদ সাহেবের চোখে এখন পানি আর পানি। জনসমর্থন না থাকায় নিজ বাড়িতে বসে এখন শুধু মিডিয়ার কাছে কান্নাকাটি করছেন। কিন্তু উন্নয়নের বাংলাদেশে এখন চোখের পানিতে মানুষের পেট ভরে না। তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেবও এখন কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছেন। এসব কান্নাকাটির আড়ালে তারা অন্য মতলবে আছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ধান্দায় আছে। জনগণ তাদের চায় না। তারা জনগণের সাথে একধরনের ধোকাবাজির খেলছে।
পরে মন্ত্রী একই এলাকার করমবক্স বাজারে স্থানীয় বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মীর যোগদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এসব পথসভায় তিনি সাধারণ ভোটারদের নৌকা মার্কা ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়ে সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন। একই সাথে আগামীবার নির্বাচিত হলে প্রতিটি পরিবারে অন্তত একজন করে আয়-রোজগার করার প্রতিশ্রুতি দেন। মন্ত্রী এসময় সরকারের ২১ দফা ইশতেহারের মাধ্যমে জনগণ কি সুবিধা ও উপকারভোগী হবে তাও তুলে ধরেন।
এসময় মন্ত্রীর সাথে কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি, সাধারণ সম্পাদক ও কবিরহাট পৌর মেয়র জহিরুল হক রায়হান, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহসভাপতি ডাক্তার একেএম জাফর উল্লাহ, আলাবক্স টিটু, মফিজ উল্লাহ বিকম সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।